পারমিতা চক্রবর্তী ভট্টাচার্য্য, হুগলি: জানুয়ারীর শীত এবছর বঙ্গে তার প্রবল দাপটে বিরাজিত। তবু প্রতি শীতের মতো এই শীতেও আমেজ আসে, শীতের রোদ্দুর গায়ে মেখে বেরিয়ে পড়ার আর নানাভাবে আনন্দ করার। আসলে গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এই সময়টাই হইচই করে ভালো খাওয়া দাওয়া করে, দুরদেশে ভ্রমনে বেড়িয়ে চুটিয়ে আনন্দ করার সময়। গড়পরতা ভাবে সবটাই আত্মাকে খুশি করার আনন্দযজ্ঞ বলা যেতে পারে। ঠিক তখনই আমাদের এই সমাজের বেশ কিছু মানুষ একটি পরিবার হয়ে একটু অন্যভাবে ভাবার চেষ্টা করেন, যার মাধ্যমে শুধু নিজেদের আনন্দ দেওয়া নয়, সে আনন্দের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ে আশে-পাশেও।
হুগলির শেওড়াফুলি সেবানিকেতন হল সেরকমই কিছু বয়সে প্রবীণ আর মননে নবীন মানুষের একটি সুন্দর পরিবার যারা সমাজসেবার রাস্তায় হেঁটে আসছেন আজ থেকে ২৫ বছর আগে থেকে। আর তাঁদের এই সমাজসেবার মাধ্যম হিসেবে তারা বেছে নিয়েছেন জনস্বাস্থ্য ও মানুষের চিকিত্সা সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে। অনান্য বছরের মতই শেওড়াফুলি সেবানিকেতন ২০২৩এর সূচনায় ৭ ও ৮ জানুয়ারী হুগলির বৈদ্যবাটি রাজারবাগান হাইস্কুলে আয়োজন করেছিলো দুদিন ব্যাপী এক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। শিবিরে সমাজের অর্থনৈতিক ভাবে একটু দুর্বল মানুষদের পাশে দাঁড়াতে, সম্পুর্ন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডাক্তার দেখানোর সুযোগ করে দেওয়া হয় এই দুইদিন।
শিবিরের দ্বিতীয় দিনে উদোক্তাদের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এক আলোচনাচক্র, আলোচনাচক্রে অংশ নেন ডাঃ দেবত্র বোস, ডাঃ এইচ এন মিশ্র সহ বিশিষ্ট ডাক্তারগণ। দুদিন ব্যাপী এক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরে রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ডাঃ রাজীব মুখার্জী, ডাঃ সুভানন রায়, ডাঃ তপন মিত্র, ডাঃ দেবত্র বোস, ডাঃ অরিত্র সাহা, সুশান্ত ব্যানার্জী, সজল বসু, পার্থ দাস, দীননাথ চ্যাটার্জী, ডাঃ দেবতোষ ভট্টাচার্য্য, ডাঃ এস এন রায় সহ আরো অনেকে।
শিবিরে শেওড়াফুলি সেবানিকেতনের পক্ষ থেকে আগে আসার ভিত্তিতে বিপিএল তালিকাভুক্ত দুঃস্থ মানুষদের জন্য ৩০টি কমোড চেয়ার প্রদান করা হয়। শেওড়াফুলি সেবানিকেতনের সম্পাদক স্বপন চ্যাটার্জী জানান, তাঁদের সংস্থা সদাই তত্পর সকল মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে। তিনি আরও জানান তাঁদের এই শিবিরে প্রায় নয়শো মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন এই দুই দিনে।