সুফল তর্কালঙ্কার: অন্য রকম এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে রইল হুগলি জেলার প্রাচীন শহর বৈদ্যবাটি। গত ১৩ ও ১৪ মার্চের সন্ধ্যা এই শহরের সুপ্রাচীন ক্লাব বৈদ্যবাটি ক্লাবের প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছিল শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও শাস্ত্রীয় নৃত্যের অপরূপ মেলবন্ধনে। আসলে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে সর্বকালের সেরা কলা সঙ্গীত, যার আবেদন সমগ্র বিশ্বে বিরাজমান। সম্পুর্ন ভারতীয়, প্রায় ২০০০ বছরের পুরোনো আমাদের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও নৃত্যের সম্ভার যা আমাদের একান্ত নিজস্ব, সেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও শাস্ত্রীয় নৃত্যের অনন্য উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করল বৈদ্যবাটির জনগণ বৈদ্যবাটি শিল্পী সমন্বয়ের ব্যবস্থাপনায়। দুদিনের সন্ধ্যা মুখরিত হয়ে উঠেছিল নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের প্রতিভার প্রকাশে আচার্য অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পন্ডিত গোপাল রায় নামাঙ্কিত মঞ্চে।
দুই সন্ধ্যায় মঞ্চ আলোকিত করে নিজেদের প্রতিভার অসামান্য নিদর্শন রাখলেন শিল্পীরা, যা এককথায় অনবদ্য। অনুষ্ঠানের প্রথম সন্ধ্যায় গুরু শিষ্য পরম্পরার অপরূপ পরিবেশন ছিল লক্ষণীয়। নৃত্য গুরু রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সুযোগ্যা শিষ্যা মৌসুমী শীল পরিবেশন করেন ভরতনাট্যমের নৃত্যশৈলী।
শিল্পী সমন্বয় আয়োজিত এই দুই সন্ধ্যার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলনে অংশ নেন পন্ডিত অরূপ চ্যাটার্জী, পন্ডিত তুষার দত্ত, পন্ডিত সনাতন গোস্বামী, চিরদীপ সরকার, রূপক ভট্টাচার্য্য, জয়িতা চৌধুরী, পরমানন্দ রায়, কমলাক্ষ ভট্টাচার্য্য, সন্দীপ ঘোষ, সোমেন পোদ্দার, মৌ বারিক, সমিত বনিক, মৌসুমী শীল এবং গুরু রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈদ্যবাটির মত প্রাচীন শহরে দুই দিনের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৈদ্যবাটি শিল্পী সমন্বয় আবারও প্রমাণ করল জেলা তথা এই রাজ্যের সংস্কৃতির মানচিত্রে এই শহর এখনও তাঁর নিজস্ব ধরা বজায় রেখে চলছে।