অনিমেষ মল্লিক: ‘আপনি মানবিক রেলমন্ত্রী হবার চেষ্টা করুন, দয়া করে দানব হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রেলমন্ত্রী ছিলেন, ওনার মত মানবিক রেলমন্ত্রী হবার চেষ্টা করুন, শিখে নিন, শিখতে কোনও লজ্জা নেই পীযূষ গোয়েল অবশ্য মানুষের সুখ-দুঃখ বোঝেন না, উনি তো রাজ্যসভার মেম্বার, উনি কোনোদিনই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশেন নি। মানুষের সুখ-দুঃখ টা উনি জানেন না আসলে ওনাকে জীবনে কোনদিন লড়াই করতে হয় নি। গরীব মানুষদের কষ্ট উনি কী করে বুঝবেন, ওনাকে তো মানুষের ভোটে জিতে আসতে হয় নি।’ হুগলির শ্রীরামপুরে রায়ল্যাণ্ড রোডের বস্তি ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে পূর্ব রেলের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ চলছে, সেই বিক্ষোভের অন্যতম অঙ্গ হিসাবে রবিবার ৩০ আগস্ট শ্রীরামপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণাত্মক মেজাজে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন।
পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে সাবধান করে দিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দয়া করে বলছি রাজনীতি করতে আসবেন না, কারণ যদি আপনারা রাজনীতি করতে আসেন, তাহলে যে আগুন জ্বলবে তাতে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন আপনারাই। এই জমি যে রেলের তার প্রমাণও দেখতে চান কল্যাণ বাবু এদিনের সভা মঞ্চ থেকে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই চলবে বলে তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন রেল পুলিশের কত গুলি আছে তা আমরাও দেখে নেব। আগে আমাদের বুকের ওপর গুলি চালাবেন তারপর বস্তি উচ্ছেদ করবেন।
প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন আগে হুগলির শ্রীরামপুর রায়ল্যাণ্ড রোড এলাকায় খাটাল উচ্ছেদে নামে রেলের জিআর পি। করোনার আবহে আচমকাই এই খাটাল ও বাসস্থান উচ্ছেদে একেবারে পথে নেমে আসে সেখানকার বাসিন্দারা। এরপরই রেলের এই অমানবিক কাজের জন্য প্রতিবাদ করে স্থানীয় তৃনমুল নেতৃত্ব।
এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল ক,অংরেশের সভাপতি দিলীপ যাদব সহ একঝাঁক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।