সৌমাভ মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগণা: ক্যাটেগরি ৫ সুপার সাইক্লোন আম্ফানের জেরে বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, বাদুড়িয়া, স্বরুপনগর, হিঙ্গলগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভয়াল ভয়ঙ্কর রূপ চাক্ষুষ করেছে। যার ফলে কলা চাষে হয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, মাথায় হাত কলা চাষীদের। আম্ফানের পর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন, কিন্তু প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ফলে নদী বাঁধ ভেঙে গ্রামে ঢুকে গেছে নোনা জল। নোনা জলের প্রভাবে লবণাক্ত মাটিতে সিঙ্গাপুরি কলা গাছ মারা যাচ্ছে, পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে, পচন ধরছে। হাড়োয়ার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালিপুর গ্রামে রবিউল মোল্লা ও জগৎ দাস প্রামানিক নামক দুই চাষির জানান, বিপুল টাকা ঋণ নিয়ে তার কলা চাষ করেন। নদীর নোনা জল ঢুকে একদিকে মাটির দূষণ অন্যদিকে সব্জি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও গাছ মরে যাওয়ায় হতাশ হয়ে গেছেন চাষীরা। রোদ যখন উঠছে, গাছের গোড়ায় তখন পচন ধরা শুরু করেছে। ঋন পরিশোধ তো দূরের কথা সংসার চালাতে কাল ঘাম ছুটছে তাঁদের। নষ্ট হয়েছে কয়েকশো বিঘা চাষের কলা। রীতিমতো দিশেহারা হয়ে গেছেন চাষীরা, সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। এখানকার সিঙ্গাপুরি কলা কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়, এমনকি ভিন রাজ্যেও রপ্তানি হয় এবং সরকারি হাসপাতালে রুগীর জন্য এই কলা সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে লকডাউন জের ও করোনার আবহে আবার কবে আর্থিকভাবে মেরুদন্ড সোজা করে তা এখন সবার কাছে অজানা।
এই দূরহ অবস্থার জাঁতাকলের মধ্যে আম্ফানের তান্ডব লীলা মানুষের মধ্যে বহু বছর ধরে দাগ কেটে থাকবে। এই বিষয়ে হাড়োয়ার বিডিও দীপঙ্কর দাসের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা লিখিত জানালে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও, তিনি আশ্বস্ত করেছেন, কলা চাষীরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় তার জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।