দুর্গাপুর থেকে ২০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বসিরহাট ফিরলো সাত শ্রমিক

soumabha-7সৌমাভ মণ্ডল, বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগণা:  বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি, ন‍্যাজাট, কালিনগর ও মেটেখালি গ্রামে এই ৭জন শ্রমিকের বাড়ি। এরা গত সাত মাস আগে দুর্গাপুরে গিয়েছিল রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য। কিন্তু লকডাউনের জেরে আটকে পড়ে। এসব রাজমিস্ত্রিরা তাদের ঠিকাদারকে বলা সত্ত্বেও তাদের কোন সুরাহা হয়নি। এই নিয়ে শ্রমিকের পরিবারও চিন্তিত ছিল। ৪০দিনের বেশি সময় কেটে গেলে পরে শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নেয় দুর্গাপুর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বসিরহাট ফিরবে তারা। যা ভাবা সেই কাজ। পায়ে হেঁটে বসিরহাটের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় ঐ শ্রমিকরা। সেখান থেকে সময় লাগলো তিন দিন।  শ্রমিকরা সরাসরি বসিরহাট জেলা হাসপাতালে গিয়ে নিজেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। এই বিষয়ে ন্যাজাট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিস্তারিত রিপোর্ট দেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেই মতো তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন ন্যাজাট থানার পুলিশ। পাশাপাশি তাদের প্রতিদিন যেমন স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে তেমন খাদ্যেরও ব্যবস্থা করা হবে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমীক রায় অধিকারী তাদের বাড়ি যাওয়ার সবরকম ব্যবস্থা করেন। বসিরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে একটি ইঞ্জিনভ‍্যান গাড়িতে করে এই ৭ জন শ্রমিককে ন্যাজাট থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই গাড়িটা পেয়ে রীতিমতো খুশি শ্রমিক রা। শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনের শ্রমিকরা বাড়ি ফেরায় খুশি তাদের পরিবারও।

%d