পানিসাগর প্রতিনিধি, ত্রিপুরা : সংগীত, নৃত্য, খেলাধুলা, অভিনয়ের পর আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা অর্জন করতে চলেছে রাজ্যের আরেক প্রতিভাবান মৎস্য চাষি অর্ধেন্দু দেব নাথ। জানা গেছে উনার স্হায়ী ঠিকানা উওর এিপুরার পানিসাগর মহকুমার তিলথৈ দেওছড়া এলাকায়। তিনি প্রথম জীবনে এিপুরা স্টেট রাইফেলে চাকুরি করতেন। বর্তমানে সরকারি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে মৎস্য চাষে মনোনিবেশ করেছেন। বিগত ১৯৯৩ সাল থেকে মৎস্য চাষ করে আসছেন। বর্তমানে প্রায় ৬৫ কানি জায়গা নিয়ে দশটি ছোট বড় ফিসারীর মাধ্যমে বিশাল প্রজেক্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। এর থেকে প্রতি বৎসর প্রায় ১০/১২লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। উনার এই উদ্দোগ কে স্বাগত জানিয়ে বিগত ২০০৭/০৮ সনে এিপুরা সরকার উনাকে স্বর্ণপদক উপহার দেয়। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হল ২০১৯ সালে ন্যাশনাল ফিস ডেভলপমেন্ট বোর্ড (এন,এফ,ডি,বি,) গোটা এিপুরাতে বেষ্ট ফিস ফারমারের শিরোপা দিয়ে এিপুরার মধ্যে প্রথম স্হানে নিয়ে আসে। এমনকি গোটা উওর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় স্হানটি দখল করে নেয়। এই উপলক্ষে আগামী ২১/১১/১৯ বিশ্ব মৎস দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে ওনাকে পুরস্কৃত করা হবে।
যদিও ওনার সাথে একান্ত এক সাক্ষাতে জানা গেছে ওনার আজকের এই সাফল্যের জন্য সর্বপ্রথম উৎসাহ প্রদানে ওনার স্ত্রী নন্দিতা দেব নাথ এর অবদান অপরিসীম। এর পর অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ধর্মনগরের বিশিষ্ট আইনজীবী বাছিত খান।
তিনি ১,৭৫,০০০ টাকা দিয়ে তৎকালীন সময়ে উনাকে উৎসাহ প্রদান করেছেন। এছাড়াও পানিসাগর মৎস দপ্তরের প্রতিটি কর্মীর অবদান তিনি উল্লেখ করেন। দিল্লিতে সংবর্ধনা পাওয়ার প্রাক্কালে সূদুর হায়দ্রাবাদ থেকে এন,এফ,ডি,বি,এর একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলকালী মৎস্য ফার্ম পরিদর্শন করেন।
অর্ধেন্দু বাবু জানান উনার এই সাফল্যে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের মাননীয় মৎস্য মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া বারকয়েক ছুটে আসেন ওনার প্রজেক্ট গুলিতে। এই ধরনের সাফল্যের অধিকারি অর্ধেন্দু বাবু জানান বর্তমান সমাজে বেকারত্বের অবসান ঘটাতে সরকারের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে মৎস্য চাষে মনোনিবেশ করতে।
কারন এিপুরার জনসংখ্যার তুলনায় মৎস্যের যোগান অনেক কম, তাই বাধ্য হয়ে অন্য রাজ্য থেকে মাছ আমদানি করতে হয়। তাই মৎস্য চাষের মাধ্যমে সমাজকে আরও স্বনির্ভর করে তোলার ডাক দেন।