প্রথম বিধানসভা উত্‍সবে মেতে উঠলো আলোকনগরী

একসময়ের ফরাসি উপনিবেশ অতীতের ফরাসডাঙা যা আজ পরিচিত চন্দননগর নামে, যে শহরে ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশ পুলিশকে অনুমতি নিয়ে এখানে ঢুকতে হতো সেই চন্দননগর বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনে নিয়েছিল বিশাল ভূমিকা, যে চন্দননগর বিখ্যাত তাঁর সংস্কৃতি, শিল্পকলায়, সেই চন্দননগরেই প্রথম বারের জন্য রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুপ্রেরণায় ও স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ২ ফেব্রুয়ারী থেকে ৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রথম বর্ষ চন্দননগর বিধানসভা উত্‍সব গঙ্গার তীরে স্থানীয় মেরীর মাঠে। উত্‍সবে ছিল নানা ধরনের খাবার, শিক্ষা, জামা কাপড়, শিল্পকলা, পর্যটন সহ গয়নার দোকান। সঙ্গে শিশুদের বিনোদনের জন্য নানান ব্যবস্থা। গত ২ ফেব্রুয়ারী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চন্দননগরের বিধায়ক তথা তথ্য–সংস্কৃতি ও পর্যটন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। ছিলেন চন্দননগর পুরনিগমের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু, প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী, ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু ব্যানার্জি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এই উত্‍সবে চন্দননগরের ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিককে চন্দননগর গৌরব সম্মানও প্রদান করা হয়। পাঁচ দিনের এই উত্‍সবে কলকাতা, মুম্বাই ও স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে প্রতিদিনও বিকাল থেকে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জমজমাট আসর। ঐতিহাসিক এই শহরের এই উত্‍সবে চন্দননগর পৌরনিগম আন্তরিক শ্রদ্ধা জানায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়কে তাঁর দ্বি-শত জন্মবার্ষিকীর প্রাক্কালে। উত্‍সবের সমাপ্তি সন্ধ্যায় জনসাধারণের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

error: Content is protected !!

Discover more from Sambad Pratikhan

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading