ভাষা কোনও অন্তরায় হতে পারে না। ভাষা এমন এক মাধ্যম যা পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। এই ভাষাকে কেন্দ্র করে ভাষাসুত্রর দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলা এবং নেপালি ভাষা-ভাষীদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনে এক আকর্ষণীয় সাইকেল র্যালির আয়োজন করতে চলেছে কলকাতার এক বেসরকারি পর্যটন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। এই সংস্থা ইতিপূর্বে ২০১২ সাল থেকে ভাষাসুত্র শীর্ষক কলকাতা থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে ইন্দো-বাংলা সাইকেল র্যালির আয়োজন করে আসছে। আর এবার তারা উদ্যোগী হয়েছে বাংলা ও নেপালি ভাষার মধ্যে এক অনন্য মেলবন্ধন ঘটাতে ভাষাসুত্র-২ শীর্ষক এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করে।
এই উদ্দেশ্যে তারা এই বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে শুভারম্ভ করতে চলেছে ভাষাসুত্র-২ এর। অর্থাত্ আগামী ১৫ অগাষ্ট শিলিগুড়ি থেকে সাইকেল র্যালি যাত্রা শুরু করে দার্জিলিং পৌঁছে আগামী ২১ অগাস্ট আবার শিলিগুড়িতে এসে শেষ হবে।
তাদের ভাষাসুত্র-২ শীর্ষক সাইকেল র্যালি সম্পর্কে আয়োজক সংস্থার পক্ষে স্বরজিত্ রায় আমাদের বলেন তারা মূলত বাংলা ও নেপালি ভাষার প্রতি বিশেষ সন্মান জানাতে আয়োজন করেছেন এই র্যালির। পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সংস্কৃতির বিনিময় ও বিকাশ এবং সর্বোপরি আমাদের রাজ্যের পর্যটনের বিকাশে তারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে তিনি জানান। স্বরজিত্ বাবু জানান ১৫ অগাষ্ট শিলিগুড়ি থেকে এই সাইকেল র্যালি যাত্রা শুরু করে প্রথম দিন ৩০ কিমি পথ অতিক্রম করে কালিঝোরা পৌঁছবে। পরদিন কালিঝোরা থেকে মংপো (৩০ কিমি), ১৭ অগাষ্ট মংপো থেকে কালিম্পং (৪২ কিমি), পরদিন কালিম্পং থেকে লামাহাটা (৩২ কিমি), তার পরদিন অর্থাত্ ১৮ অগাষ্ট এই র্যালি ২২ কিমি পথ অতিক্রম করে লামাহাটা থেকে দার্জিলিং এ হাজির হবে। ২০ অগাষ্ট দার্জিলিং এর ঐতিহাসিক ম্যালে শ্রী অধিকারি ভানুভক্ত আচার্য’র মূর্তির সামনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ওই দিনই সাইকেল র্যালি দার্জিলিং থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কার্শিয়ং পৌঁছবে। ভাষাসুত্র’র এই অংশ’র সাইকেল র্যালি শেষ হবে কার্শিয়ং থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শিলিগুড়িতে এসে।
স্বরজিত্ বাবু আশা প্রকাশ করেছেন তাদের ভাষাসুত্র-২ সাইকেল র্যালি আগামীতে বাংলা এবং নেপালি ভাষা-ভাষীদের মধ্যে যে যোগসূত্র স্থাপন করবে তা আমাদের রাজ্যের পর্যটনের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা গ্রহন করবে।