টি.টি.এফ. কলকাতা-পুজোর আগেই অকাল বোধন

প্রদীপ জ্বালিয়ে টিটিএফ ২০১৮ উদ্বোধন

ভারতের সর্ববৃহত্‍, সর্বপ্রাচীন পর্যটন মেলার আসর বসেছিল কলকাতার অন্যতম ইন্ডোর স্টেডিয়াম নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে গত ৬,৭ ও ৮ জুলাই। ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম ফেয়ার বা টি.টি.এফ. নামেই সমধিক খ্যাত এই মেলাকে কেন্দ্র করে ওই তিনদিন কলকাতা হয়ে উঠেছিল কল্লোলিনী। ভারতের ২৫টি প্রদেশের সরকারী পর্যটন সংস্থা সহ ৪৩০টি দেশী-বিদেশী বেসরকারি পর্যটন সংস্থা এবং ১৩টি বিদেশী সরকারী পর্যটন বোর্ডের উপস্থিতিতে টি.টি.এফের ২০১৮র ৩০ তম সংস্করণ সেজে উঠেছিলো সুচারু রূপে। তিনদিনের এই মেলার শুভ সূচনায় হাজির ছিলেন পাশের রাজ্য বিহারের পর্যটন মন্ত্রী প্রমোদ কুমার, থাইল্যান্ড এর ডেপুটি কনসাল জেনারেল, কলকাতা ভেনাস অস্বাপুম, নেপালের কলকাতাস্থিত কনসাল জেনারেল একনারায়ন আরয়েল, গোয়া পর্যটনের ডিরেক্টর মেনিনো ডিসুজা, বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ. কে. এম. শাহজাহান কামাল, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য সহ মেলার আয়োজক সংস্থার প্রধান সঞ্জীব আগরওয়াল।

স্বাগত ভাষণে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য জানান আগামী দুর্গা পুজোর মরশুমে আরও বেশি সংখ্যায় দেশী ও বিদেশী পর্যটককে পশ্চিমবঙ্গে আকৃষ্ট করতে রাজ্য পর্যটন দপ্তর নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। শুধুমাত্র পর্যটক নয় রাজ্য পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের লেখক, ফটোগ্রাফার প্রভৃতি মিলিয়ে প্রায় ২০০ জনকে আমন্ত্রন পত্র পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে পর্যটকরা সমুদ্র থেকে শুরু করে বরফাবৃত পাহাড়ের শোভা উপভোগ করতে পারেন।

এবারের মেলায় আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাংলাদেশ পর্যটনের প্যাভেলিয়নটি। অপূর্ব টেরাকোটার কাজে ভরা বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নটি সাজানো হয়েছিল দিনাজপুরের বিখ্যাত কান্তজীর মন্দিরের আদলে। দীর্ঘ কয়েক বছর অনুপস্থিত থাকার পর এবারের মেলায় হাজির ছিল সিকিম পর্যটনের স্টল। সারা ভারত থেকে ভ্রমণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তি বা সংস্থারা যেমন উপস্থিত ছিলেন এবারের মেলায়, তেমনি সাধারণ ভ্রমণ পিপাসু মানুষজনের উত্‍সাহ ছিল দেখার মত। সব মিলিয়ে কল্লোলিনী কলকাতায় আসন্ন শারদিয়ার প্রাক্কালে এই তিন দিন যেন কলকাতার বুকে অকাল বোধন ঘটে গেল এই মেলাকে কেন্দ্র করে।

থাইল্যান্ডের স্টলে শিল্পীর কারিগরী

পড়শী দেশ বাংলাদেশের স্টল

%d