সুগত মুখোপাধ্যায়: দেবীপক্ষের সূচনা এর থেকে আর কী ভালো হতে পারে ! চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ১১৭ বল বাকি থাকতে সহজেই ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে শনিবার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে জয়ের হ্যাটট্রিক করল ভারত । একইসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে আটটি ম্যাচেই জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। তাই নবরাত্রির প্রথম রাতে রোশনাই দেখা গেল মোদির শহরে । আর লিগ টেবিলের সিংহাসনে এক নম্বরে বসার জন্য পুরো কৃতিত্বই দিতে হবে বুমরাহ ,কুলদ্বীপদের। পঞ্চমিতে পুণের মাটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচটি খেলবে কোহলিরা।
১৫৫ রানে ৩ উইকেট থেকে ১৯১ রানে পাকিস্তানের ইনিংস যে ভেঙে পড়বে তাসের ঘরের মত তা কেউ অনুমান করতে পারেননি। ৪১ রানের মাথায় পাক দল হারায় ওপেনার আব্দুল্লা সফিকের (২০ রান) উইকেটটি। পাক অধিনায়ক বাবর আজম অপর ওপেনার ইমাম উল হককে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন। কিন্তু ইমামো (৩৬ রান) করে ফিরে গেলেন। এরপর তৃতীয় উইকেটের জুটিতে মহম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে মূল্যবান ৮২ রান যোগ করে বড় রানের ইনিংস গড়ার আশা দেখিয়েছিলেন বাবার। এমনকি এই বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে অর্দ্ধশতরানের একটি ইনিংস খেলে যখন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তখনই মহম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন।
এরপরই উইকেট পড়ার লাইন লেগে যায়। রিজওয়ান ৪৯ রান করে বুমরাহের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন। যারফলে ২৯.৪ ওভার থেকে ৪২.৫ ওভারের মধ্যে পাকিস্তানের ইনিংস ১৯১ রানে গুটিয়ে যায়। বুমরাহ ছাড়া সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া,কুলদ্বীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা কারো বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি পাক মিডিল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। ভারতীয় পাঁচজন বোলারই ভাগ করে নিলেন দুটি করে উইকেট। এরমধ্যে বুমরাহ ৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে একটি মেডেন তুলে ১৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়ে ঘরের মাঠে ম্যাচের সেরা হলেন।
পাকিস্তানের ৩৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলায় বেশ সতর্ক হয়ে খেলতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মারা। যদিও ডেঙ্গু কাটিয়ে মাঠে ফিরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় রান পেলেন না ওপেনার শুভমান গিল (১৬)। বড় রান পেলেন না কোহলিও(১৬)। ৭৯ রানে কোহলি ফিরলেও দলের জয়ের ভিত গড়লেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাই। তিনি ৬৩ বলে ছটি ছক্কা ও ছটি বাউন্ডারির সাহায্যে করলেন ৮৬ রান। শ্রেয়স আয়ারকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে রোহিত যোগ করেন ৭৭ রান। যা দেখে মাঠে হাজির অমিত শাহ থেকে সচিন তেন্ডুলকর সকলেই তৃপ্ত । শ্রেয়স ৬২ বলে দুটি ছয় ও তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ৫৩ রান করে ভারতকে ৩০.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষে পৌঁছে দিলেন। এবার ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।