সুগত মুখোপাধ্যায়: কলকাতা ময়দানে তৃতীয় প্রধান হিসেবে পরিচিত মহমেডান স্পোর্টিং শেষ কবে কলকাতা ঘরোয়া ফুটবল লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিলো ? উত্তরটা খুঁজতে অনেককেই অবশ্য গুগুল মামার সাহার্য্য নিতে হবে। কারণ গত পঞ্চাশ বছরে কলকাতা লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক ছিল না সাদা কালো বাহিনীর। ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত হ্যাটট্রিক সহ টানা পাঁচবার কলকাতা ফুটবল লিগ খেতাব জিতেছিল তাঁরা। আজ প্রায় দীর্ঘ ৮৭ বছর পর আবার লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করল মহমেডান স্পোর্টিং।
জুম্মাবারে কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে সুপার সিক্সের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহবাগানকে ২-০ গোলে হারিয়ে কলকাতা ঘরোয়া ফুটবল লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করল সাদা কালো ব্রিগেড। ১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট ঘরে তুলে ময়দানের অপর দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকে পিছনে ফেলে লিগ জয়ের আনন্দে মাতলো মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাই খেলার শেষে ভিক্টোরিয়া থেকে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে তাঁবুতে ফিরলেন সাদা কালো শিবিরের ফুটবলাররা। আর লিগ খেতাব জয়ের জন্য ফুটবলারদের পাঁচ লক্ষ টাকা ইনসেনটিভ ঘোষণা করলেন ক্লাব কর্তারা।
লিগের রং এবারোও সাদা-কালো। এবারের ঘরোয়া লিগে মহমেডান স্পোর্টিং শুরু থেকেই চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলে এসেছে। আর ফুটবল সচিব ও প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসের জন্মদিনে তাঁকে লিগ জিতে সেরা উপহার দিলেন ফুটবলাররা। শেষ ম্যাচেও মহমেডান প্রাধান্য রেখে মোহনবাগানকে হারিয়ে উৎসবে মেতে উঠলো। এই নিয়ে ১৪ বার কলকাতা ফুটবল লিগ খেতাব জিতল সাদা কালো ব্রিগেড।
লিগ খেতাব জয়ের জন্য সুপার সিক্সে মহমেডানের শেষ ম্যাচে প্রয়োজন ছিল একটি জয়। তাই শুরু থেকেই গোলের ঠিকানা খুঁজতে থাকেন ডেভিডরা। এবং বিরতির আগেই জোড়া গোল তুলে নিয়ে লিগ খেতাব জয়ের সেলিব্রেশন শুরু করে দেয় সাদা কালো শিবির। খেলার ১২ মিনিটে মহমেডানকে এগিয়ে দেন রেমসাঙ্গা। কর্নার থেকে নেওয়া তাঁর হেড মোহনবাগানের জালে জড়িয়ে যায়।
এক গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করে সবুজ-মেরুন শিবির। কিন্তু মহমেডানের হয়ে ৩৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ডেভিড।এদিনও গোল করে লিগে ডেভিডের গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ২১। ডুরান্ডের পর লিগেও চলল ডেভিড জাদু। বিরাট কোন অঘটন না ঘটলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া নিশ্চিত ডেভিডের।এবার আই লিগকে পাখির চোখ করে এগোতে চায় সাদা কালো শিবির। যদিও লিগ জয়ের সেলিব্রেশন মাঠেই শুরু করে দেন বিলাল আহমেদরা। তবে কিশোর ভারতীতে এই ম্যাচ দেওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে গেলেন মহমেডানের শীর্ষ কর্তা কামারুউদ্দিন এবং চ্যাম্পিয়ন ট্রফি মাঠে না দেওয়া নিয়ে আই এফ এ-র ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল সচিব ইফতিয়াক (রাজু) আহমেদকে।