সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: এই বাংলায় বর্তমান রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজের নানা দিক তুলে ধরে এবং আগামীতে এই সরকারের প্রধান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা সামাজিক প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এক সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গেল কলকাতা প্রেস ক্লাবে গতকাল, ২৬ জুলাই, বুধবার। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গায়ক কবির সুমন, অভিনেত্রী অনামিকা সাহা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, নাট্য ব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ, লেখক আবুল বাশার, প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্য তথা চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী, চিত্র পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
মূলত, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংগঠনের সভায় গত ২০ জুলাই রাজ্য সদ্য হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি পাঠ করেন অভিনেত্রী অপর্ণা সেন, তিনি ওইদিন বলেন এই পরিবর্তন তাঁরা চান নি। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে গায়ক কবীর সুমন জানান, যাঁরা বলছেন, এই পরিবর্তন চাইনি, তাঁদের কাছে প্রশ্ন, কোন পরিবর্তন চেয়েছিলেন আপনারা? তিনি আরও বলেন, আমি হয়তো, রাজ্যের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব বিষয়ে একমত নাও হতে পারি, কিন্তু যে কথা বলা প্রয়োজন সেটি যেভাবে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পথঘাট, হাসপাতলের উন্নয়ন করেছেন তাতে বলাই যায় বেশ ভাল কাজ উনি করেছেন। তিনি মহাশ্বেতা দেবীকে উদ্ধৃত করে বলেন-‘মমতার বুকে মাথা রেখে কাঁদা যায়’।’
প্রখ্যাত লেখক আবুল বাশার তাঁর বক্তব্যে বলেন, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই রাজ্যের নিম্ন বর্গের মানুষদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদান করেছেন। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কাজ করতে দেওয়ার আবেদন রাখেন তিনি।
নাট্য ব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ বলেন, আজকের সময়ে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীই একমাত্র সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে পারেন। তিনি বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী এই প্রকল্পগুলির মধ্য দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সমগ্র নারীজাতিকে সম্মান প্রদর্শন করেছেন। তাঁর কোথায় উঠে আসে আজ গ্রাম হাসছে।
চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী বলেন, নিউটাউনে যে দশ একর জমি মুখ্যমন্ত্রী দান করেছেন রাজ্যের শিল্প-কলা সংগ্রহ মিউজিয়াম বানানোর জন্য, তা এককথায় বলা যায় অভাবনীয়। অভিনেত্রী অনামিকা সাহা তাঁদের সময়ের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, আজ এই রাজ্যের মেয়েরা নির্ভয়ে বাইরে বেরতে পারে,যা একসময় ছিল অসম্ভব।
চিত্র পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই একমাত্র মানুষ যিনি সিনেমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকল কলা-কুশলীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমার ব্যবস্থা করেদিয়েছেন এবং আজ এই মুখ্যমন্ত্রীর আমলেই স্টুডিও গুলির আমূল সংস্কার সম্ভব হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, আজ ভাববার সময় এসেছে, আগামী ২০২৪ নিয়ে। সকল অপপ্রচার রুখতে তাঁরাও সামাজিক মাধ্যমে আসছেন বলেও তিনি এদিন জানান।