নিজস্ব সংবাদদাতা: গতকাল ২২ জুলাই, ২০২৩ কলকাতা প্রেস ক্লাবের ৭৯ তম জন্মদিবস স্মরণীয় হয়ে রইলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি স্থাপনের মধ্য দিয়ে। এই বছর কলকাতা প্রেস ক্লাবের জন্মদিনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা প্রেস ক্লাবের বর্তমান সভাপতি স্নেহাশীষ শূর, কলকাতা প্রেস ক্লাবের বর্তমান সম্পাদক কিংশুক প্রামানিক, প্ৰখ্যাত সুরকার ও শিল্পী কল্যাণ সেন বরাট, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশের উত্তরপুরুষ পরাশর বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বংশের উত্তরপুরুষ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও মিশন বিদ্যাসাগরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় কলকাতা প্রেস ক্লাবের ৭৯ তম জন্মদিনে বিদ্যাসাগরের মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, বামফ্রন্ট নেতা বিমান বোস, কলকাতা প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি, সহ সভাপতি ও প্রাক্তন সম্পাদকগণ।
অনুষ্ঠানে কলকাতা প্রেস ক্লাবের বর্তমান সভাপতি স্নেহাশীষ শূর স্বাগত ভাষণে বলেন, প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস প্রতিবছরই পালিত হয়, কিন্তু কোনও কোনও দিন কিছুটা আলাদা মাত্র বহন করে। তিনি বলেন, যে প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণ সাংবাদিকদের কাছে খুব প্রিয়-পবিত্র স্থান, সেই স্থানে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মর্মর মূর্তি স্থাপিত হতে যাচ্ছে যা খুবই গর্বের। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে সব থেকে গ্লানির বিষয়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শেষ জীবনে আমরা তাঁকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে অন্তরের মনিকোঠায় স্থাপন করে রাখতে পারিনি।
তিনি কলকাতা প্রেস ক্লাবে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ-এর মূর্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলা গদ্যের জনক, সমাজসংস্কারক, নারী শিক্ষা প্রসারে অগ্রদূত পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মর্মর মূর্তি স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান কলকাতা প্রেস ক্লাবের বর্তমান সহ-সম্পাদক নিতাই মালাকার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বংশের উত্তরপুরুষ মিশন বিদ্যাসাগরের প্রধান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্ৰখ্যাত সুরকার ও শিল্পী কল্যাণ সেন বরাট বলেন আমরা যে মানুষগুলিকে দেখে ও যাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের চলার পথে ভালো কাজ করার তাগিদ অনুভব করতে পারি সেইরকম এক ব্যক্ত্বিত্ব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। কিছু মানুষকে আমাদের জীবন থেকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় সদাই। আজ আমরা যাঁর হাত ধরে বাংলা ভাষা নিয়ে পথ চলতে পারছি সেই বিদ্যাসাগরকে কেন আমরা মনে রাখবো না।
এদিনের অনুষ্ঠানে মিশন বিদ্যাসাগরের পক্ষ থেকে সামাজিকতা নিয়ে কাজ করা ও সমাজের মঙ্গলে কাজ করা বেশ কিছু সংগঠন, ব্যাক্তিদের হাতে বর্ণপরিচয় সম্মান তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সংবাদ প্রতিখনের সম্পাদকের এবং এই পত্রিকার অন্যতম শুভানুধ্যায়ী ফ্ল্যাগম্যান প্রিয়রঞ্জন সরকার(মনু)র হাতে বর্ণপরিচয় সম্মান তুলে দেন মিশন বিদ্যাসাগরের পক্ষে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশের উত্তরপুরুষ পরাশর বন্দ্যোপাধ্যায়।