গান্ধর্বী’র শাস্ত্রীয় ও রবীন্দ্র নৃত্যের এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান “অর্পণ”

নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি: কঠিন অধ্যবসায় একজন মানুষকে তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে যে কতটা সাহায্য করে তাঁর প্রমাণ আমরা বারে বারেই পেয়েছি। অধ্যবসায় ও নিয়মানুবর্তিতাকে পাথেয় করে এমনই এক শিল্পী সেই শিল্পের অঙ্গনে নিজের নাম উজ্জ্বল শুধু করেন নি, তিনি একনিষ্ঠ ভাবে তৈরি করে তৈরি করে চলেছেন একদল আগামীর শিল্পীদেরও। এহেন শিল্পীটি হলেন হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি শহর থেকে উঠে আসা ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলীর অন্যতম ধারা ভরতনাট্যমের অন্যতম এক শিল্পী মৌসুমী শীল। যাঁর ঝুলিতে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক শিল্পীর তকমা।

মৌসুমীর নিজের নৃত্য শিক্ষণ কেন্দ্র গান্ধর্বী ইতিমধ্যেই শাস্ত্রীয় ও অনান্য নৃত্যের ক্ষেত্রে এক বিশেষ ছাপ বহন করতে চলেছে। অন্য বছর গুলির মত এই বছরেও এই প্রতিষ্ঠান তাঁদের সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে গতকাল ১১ জুন সন্ধ্যায় শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত করল শাস্ত্রীয় ও রবীন্দ্র নৃত্যের এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান “অর্পণ”।

শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলীর অন্যতম একটি শৈলী ভরতনাট্যম, আর ভরতনাট্যমের বিভিন্ন ভাগগুলিকে মৌসুমীর সুদক্ষ পরিচালনা তাঁর শিক্ষার্থীরা এদিন সন্ধ্যায় পরিবেশন করে মন জিতে নেয় উপস্থিত সকলের। শাস্ত্রীয় ও রবীন্দ্রনৃত্য এই  দুইভাগে সাজানো এই অনুষ্ঠানের মধ্যভাগে গান্ধর্বী’র পক্ষ থেকে উপস্থিত বিশেষ অতিথিদের উত্তরীয় ও গাছের ছাড়া তুলে দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

উপস্থিত ছিলেন মৌসুমীর নৃত্যগুরু বিশিষ্ট ভরতনাট্যম শিল্পী রাজদীপ ব্যানার্জী সহ চাঁপদানী বিধানসভার বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন, বৈদ্যবাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান পিন্টু মাহাতো, বৈদ্যবাটি পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবরাজ দত্ত, প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক পরিচয় চক্রবর্তী, সংবাদ প্রতিখনের সম্পাদক স্বরূপম চক্রবর্তী ও চিত্রগ্রাহক সোমনাথ বসু।

ভরতনাট্যমের একটি ভাগ ‘পদম’ একক পরিবেশন করেন গান্ধর্বী’র প্রধান কর্ণধার মৌসুমী শীল।

%d bloggers like this: