অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহার করায় কাউন্সিলারদের ক্ষোভ সামাজিক মাধ্যমে

নিজস্ব সংবাদদাতা: হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি পৌরসভার অন্তর্গত বৈদ্যবাটি চৌমাথার একটি ক্লাবের পশুপাখির হাটের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের প্রচার ব্যানারে এই পৌরসভার কাউন্সিলারদের ছবি তাঁদের বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই অনুষ্ঠানে তাঁদের আমন্ত্রনও জানানো হইনি বলে সামাজিক মাধ্যমে এই পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলারকে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেল। এই পৌরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শতরূপা চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে এই মর্মে প্রতিবাদ করেন ওই ক্লাবটি তাঁদের অনুষ্ঠানে তাঁকে কোনরূপ আমন্ত্রন তো জানানই নি উল্টে তাঁর অনুমতি ছাড়াই ওই ক্লাবের অনুষ্ঠানের প্রচার ব্যানারে তাঁর ছবি ছাপানো হয়েছে। এই বিষয়ে আমরা শতরূপা চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওই ক্লাব থেকে তাঁর কাছে কোনও আমন্ত্রন তো আসেইনি এবং পুরোপুরিই তাঁকে অন্ধকারে রেখে এই কাজ করা হয়েছে, এবং এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে অর্থাত্‍ যে ইভেন্ট পৌরসভার অনুমোদিত সেই অনুষ্ঠানের বিষয়ে বা ইভেণ্টের বিষয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকেও তাঁকে কিছুই জানানো হয় নি।

এই পৌরসভার অপর এক কাউন্সিলার পৌষালী ভট্টাচার্য্য সামাজিক মাধ্যমে গতকালই এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন, ওই পৌরসভার অন্য কাউন্সিলার শম্পা সরকার ও মহুয়া ভট্টাচার্য্যও এই বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এই পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবরাজ দত্ত’ও এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে, তিনি বলেন, এই পৌরসভায শুধুমাত্র তৃণমূল কাউন্সিলারই নেই, পৌরসভার অনুমতিক্রমে যে অনুষ্ঠান হচ্ছে সেখানে কী করে শুধুমাত্র গুটিকটক কাউন্সিলারদের ছবি প্রকাশ হয়। তিনি এই বিষয়ে আমাদের জানান, পৌরসভা অনুমতিক্রমে যে অনুষ্ঠান হচ্ছে তার বিষয়ে কোনও অগ্রিম খবর তাঁর কাছে ছিল না, কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন পৌরসভার এই অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে কোনও সভার কথা তাঁর জানা নেই।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা এই পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান শান্তনু দত্ত’র সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাঁকেও ওই ক্লাব অনুষ্ঠানের আগের দিন সন্ধ্যায় টেলিফোনে আমন্ত্রন জানিয়েছিল, তবে কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত সাপেক্ষ।

উক্ত ক্লাবের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে নাম ছিল স্থানীয় চাঁপদানী বিধানসভার বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন এর। তিনিও সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়ে জানান, তাঁকে কোনও আমন্ত্রন না জানিয়েই ও তাঁর অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি ও নাম উদ্বোধক হিসেবে কেন ওই ক্লাব ব্যবহার করল তা তাঁর অজানা। এই বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রতিখনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, তাঁকে না জানিয়েই এবং তাঁকে কোনরূপ আমন্ত্রন না জানিয়েই ওই ক্লাব এই কাজ করেছে।

সামাজিক মাধ্যমের এই পোস্টকে ঘিরে ওই এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে যে প্রশ্নটি উঠে এল সেটি কী করে পৌরসভার কিছু কাউন্সিলারকে এবং স্থানীয় বিধায়ককে অন্ধকারে রেখে ওই ক্লাব তাঁদের নাম ও ছবি ব্যবহার করতে পারে? এছাড়াও যে অনুষ্ঠানকে আয়োজক ক্লাব স্থানীয় পৌরসভার অনুমোদিত বলে প্রচার করল তাতে কী আদপে বৈদ্যবাটি পৌরসভা অনুমতি দিয়েছিল বা ওই ক্লাব কোনরূপ অনুমতি নিয়েছিলেন?

%d bloggers like this: