কচ্ছপরা যেন হার়িয়ে না যায়, বিশ্ব কচ্ছপ দিবসে এটাই হোক অঙ্গীকার

২৩ মে সারা বিশ্বে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক কচ্ছপ দিবস হিসেবেকেন এই দিবস পালন সে সম্পর্কে আলোকপাত করলেন সাংবাদিক কিশলয় মুখোপাধ্যায়

 পঞ্চতন্ত্রের সেই কচ্ছপ ও দুটি হাঁসের গল্পের কচ্ছপটির নাম ছিল কম্বগ্রীব। নিজের ভুলের জন্য নিজের বিপদ ডেকে এনেছিল। কিন্তু দুটি রাশিয়ান কচ্ছপ পেগি আর সুই এর কাছে মানুষ ও পরিবেশ বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমেরিকা কচ্ছপ রেসকিউ সংস্থা ১৯৯০ সালে তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে। এই ভাবে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়।

 

আজ ২৩ মে, বিশ্ব কচ্ছপ দিবস। সুসান টেলেম ও তাঁর স্বামী মার্শাল থমসনের হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৬ সালে ‘অলাভজনক’ তকমাটা স্বীকৃতি পায়। আর পরের বছর বর্তমান ঠিকানা অর্থাৎ মালিবু ক্যালিফোর্নিয়ায় সরে আসে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সাল থেকে ‘বিশ্ব কচ্ছপ দিবস’ পালন করছে।

২০২৩ সালের থিম ‘আমি কচ্ছপদের ভালোবাসি’। গোটা বিশ্বে কচ্ছপদের সংরক্ষণ তথা সচেতনতা, উদ্ধার কার্য ইত্যাদি কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে আমেরিকা রেসকিউ সংস্থাটি। সামুদ্রিক কচ্ছপ প্রজাতি বিপদসঙ্কুল বলে হাওয়াই দ্বীপ ২৩ মে সমুদ্র কচ্ছপ দিবস ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য মোটামুটি ৩ প্রকার কচ্ছপ রয়েছে যথা স্থল, জল আর সামুদ্রিক।

সারা বিশ্বের সাহিত্যে বিশেষ করে শিশু সাহিত্যে বারে বারে কচ্ছপের নানা গল্প লেখা হয়েছে। কচ্ছপ ও খড়গোশের গল্পতো সবচেয়ে জনপ্রিয়। হিন্দু ধর্মে সমুদ্র মন্থনের সময় প্রভু বিষ্ণু দশাবতারের মধ্যে কুর্মো অবতার রূপে প্রকাশ হয়েছিলেন। গ্রিক দেবতা হার্মিসের প্রতীক হল কচ্ছপ। তিনি বাণিজ্য, পর্যটক ও ক্রীড়ার দেবতা।

বর্তমানে কচ্ছপ বিপদের মধ্যে রয়েছে। মানুষের লোভ, পরিবেশ দূষণ তথা সমুদ্র দূষণের কারনে এদের সংখ্যা কমছে। বিশেষ করে এদের আবাসস্থল গুলো ধ্বংস হচ্ছে। বিশ্ব কচ্ছপ দিবসে এই অঙ্গীকার করতে হবে যে কচ্ছপরা যেন হার়িয়ে না যায়। তারা যেনো ভালো থাকে। তাহলে কচ্ছপরাও মনে মনে বলবে আমরা মানুষকে ভালোবাসি।

%d bloggers like this: