গত ১৪ মে আমরা পালন করেছি মাতৃ দিবস। এই দিবসকে স্মরণ করে সংবাদ প্রতিখনের সাহিত্যের পাতায় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের ঢাকা থেকে লেখিকা নাজনীন রাহমান
কাল্পনিক কিন্তু এটাই বাস্তব
আল্লাহ্: (সস্নেহে) এই যে সোনামনি, অনেক খেলা হয়েছে, এখন তো তোমাকে যেতে হবে।
শিশু: (অবাক হয়ে) কোথায়?
আল্লাহ্: যেখানে তোমার জন্য কেউ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে, সেখানে।
শিশু: না না আমি কোথাও যাবো না (অসংখ্য শিশু রুহ,নীলাভ সাদা অপার্থিব রঙের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেদিকে দেখিয়ে শিশুটি বললো) ওদের সাথে খেলা করবো, ওদের ছেড়ে কোথাও যাবো না।
আল্লাহ্: ওরাও সবাই সময় মত যাবে, আমি ওদেরকেও পাঠাবো, আর তুমি যেখানে যাচ্ছো, সেখানেও খেলতে পারবে, সাথী হবে তোমার।
শিশু: কিন্তু আমার খিদে লাগলে এখানে নানা রকম সুস্বাদু ফল খাই, ওখানে আমি তাহলে কি খাবো?
আল্লাহ্: তোমার খিদে লাগলেই খাবার পাবে, তোমাকে চাইতেও হবে না, তুমি ক্ষুধার্ত হলেই সুস্বাদু খাবার পাবে।
শিশু: কিন্তু আমি যে ইচ্ছে হলেই যখন তখন তোমার সাথে কথা বলি, তাহলে তখন কিভাবে তোমাকে পাবো! কিভাবে তোমার সাথে কথা বলবো?
আল্লাহ্: তুমি যার কাছে যাচ্ছো সেই তোমাকে শিখিয়ে দেবে, দুই হাত তুলে কিভাবে কোন নিয়মে প্রার্থনার মাধ্যমে আমার সাথে কথা বলবে, ঠিক মত শিখে যদি পালন করো তবে অবশ্যই আমাকে পাবে।
শিশু: (ব্যাজার হয়ে) এখানে আমি কত ভালো আছি, নিরাপদে থাকছি, সেখানে কি হবে?
আল্লাহ্: যার কাছে তোমাকে পাঠাচ্ছি, তার স্পর্শেই জেনে যাবে যে তুমি অত্যন্ত নিরাপদ এবং খুব ভালো আছো…. সে তোমাকে নিজের জান প্রাণ দিয়ে হলেও আগলে রাখবে।
শিশু: কিন্তু এই জায়গা কত সুন্দর, সবুজ গাছপালা, কত ফল, ফুলের গাছ, ঝর্ণার সুবাসিত স্বচ্ছ পানি।
আল্লাহ্: তুমি সেখানেও অতি সুন্দর চমৎকার জায়গা দেখতে পাবে।
শিশু: বুঝলাম সবই, আমাকে যেতেই হবে কিন্তু আমি তাকে চিনবো কেমন করে!
আল্লাহ্: তোমাকে তার শরীরের সুগন্ধই জানিয়ে দেবে যে তুমি একদম ঠিক জায়গায় চলে এসেছো।
শিশু: আমি তাকে কি বলে ডাকবো? মানে তার নাম তো আমাকে জানাবে!
আল্লাহ্: (হাসতে লাগলেন সৃষ্টিকর্তা) তুমি তাকে মধুর একটা মাত্র শব্দ দিয়ে ডাকবে,সেটা হচ্ছে-মা -মা-মা।
হ্যাঁ, স্নেহময়ী, মমতাময়ী মা। যার বিকল্প হয় না, তুলনা হয় না জগতের কোনো কিছুর সঙ্গে।