শুভদীপ দে, হুগলি: হুগলির বৈদ্যবাটি পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর কারণে মৃত্যু হল এক কিশোরীর, নাম কায়ানাত পারভিন, বয়স ১৫ বছর, শুক্রবার জ্বর নিয়ে শ্রীরামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ঐদিন রাতে তার মৃত্যু হয়, শনিবার এই খবর এলাকায় জানাজানি হতে শোকের ছায়া নেমে আসে, স্থানীয় বাসিন্দারা এই ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লকের পৌর সদস্যা রত্না দাসের নামে অভিযোগ করেন যে “কাউন্সিলরকে বলতে গেলে তিনি শুধু একটাই কথা বলেন হবে হবে! খালি তিনি আশ্বাস দেন কোন কাজের কাজ করেন না, অন্যান্য ওয়ার্ডে নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করা হয় কিন্তু এই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরিষ্কার করা হয় না, অন্য ওয়ার্ডে সাফাই কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জঞ্জাল সংগ্রহ করেন কিন্তু এই ওয়ার্ডে নিজেদেরকে গিয়ে সাফাই কর্মীর কাছে জঞ্জাল দিয়ে আসতে হয়, তারপরেও আবার মাঝে মাঝে ২০ টাকা করে দিতে হবে!”
কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা পৌর সদস্যের অফিস ঘেরাও করে তাদের দাবিদাবাও জানাতে থাকেন, এই ঘটনা প্রসঙ্গে পৌর সদস্যা রত্না দাস জানান ডেঙ্গুর থেকে আমি আমার নিজের ওয়ার্ড কে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি, সত্যি খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনা যে আমার ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপে বোনেরই মতন একজনকে হারালাম, বৈদ্যবাটি পৌরসভার পৌর প্রধান পিন্টু মাহাতো জানান ডেঙ্গুর কারণে একটি বাচ্চা মেয়ে মারা গেছে এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, পাশাপাশি তিনি জানান এই মেয়েটির বাড়িতে যখন সার্ভে করতে যায় পৌর কর্মীরা তখন পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এই মেয়েটির জ্বর নেই সে ঠিক হয়ে গেছে, আজকে যদি তারা ঠিক সময় মতন বলতো তাহলে হয়তো এই মেয়েটিকে আমরা বাঁচাতে পারতাম।