আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে গ্রন্থিবাত বা গেঁটেবাত দিবস। এই দিবস প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন সাংবাদিক কিশলয় মুখোপাধ্যায়
ফেলুদা গোয়েন্দাগিরিতে ‘ঘুরঘটিয়ার ঘটনা’ গল্পে কালীকিঙ্কর মজুমদারের ছেলে বিশ্বনাথ মজুমদার তার বাবার সিন্দুকের যাকে বলে পাসওয়ার্ড জানতে ফেলুদা ও তোপসের কাছে ‘গেঁটেবাত রুগি কালীকিঙ্কর মজুমদার’ ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। প্রথম আলাপে বিছানায় শুয়ে বলেছিলেন ‘আর্থারাইটিস জানোতো? যাকে সোজা বাংলায় বলে গেঁটে বাত। হাতের আঙুল গুলো আর ব্যাবহার করতে পারিনা।’ এই গেঁটে বাতের পোশাকি নাম বলা যায় ‘রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস’। আজ ১২ অক্টোবর ‘বিশ্ব আর্থারাইটিস দিবস’। ২০২২ সালের বিশ্ব আর্থারাইটিস দিবসের থিম হল এটি আপনার হাতে, পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র চরক সংহিতায় আশি রকমের বাত ব্যাধির উল্লেখ আছে। অন্যান্য শাস্ত্রকর এবং অস্থি বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রায় ১০০ রকমের আর্থারাইটিস রয়েছে। এর মধ্যে অস্টিওপোরেসিস, রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস, অস্টিও আর্থারাইটিস, স্পন্ডিলাইসিস, গাউট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এখন কথা হচ্ছে আর্থারাইটিস বা বাত কী ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরের যে হারের সংযোগ স্থল বা জয়েন্টে যে ব্যাথা হয় তাকেই বলে বাত। গ্রিক শব্দে আর্থ মানে সন্ধি আর আইটিস মানে প্রদাহ। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আর্থারাইটিস অ্যান্ড রিউম্যাটিসিম ইন্টারন্যাশানাল’ সংস্থাটি ১৯৯৬ সালের ১২ অক্টোবর থেকে শুরু করে বিশ্ব আর্থারাইটিস দিবস। এই বছর এই থিমের মাধ্যমে বাতের সমস্যায় জর্জরিত মানুষ, তাঁর যত্ন নিচ্ছেন পরিবারের যে সদস্যরা, এই পেশায় যাঁরা যুক্ত আছেন এবং সাধারণ মানুষ কে উৎসাহিত করা হচ্ছে প্রত্যকেই নিজেরা পদক্ষেপ নিন এই বাত ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইকে ফলপ্রসু করার জন্য। এই সংস্থাটির সঙ্গে পৃথিবী ব্যাপী আরো বহু সংগঠন যুক্ত হয়েছে এবং নিরলসভাবে সচেতনতা করছে এই ব্যাধি সম্পর্কে।