শুভদীপ দে, হুগলি: আসন্ন শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসনের ও পৌরসভার পক্ষ থেকে বৈদ্যবাটি পৌরসভা এলাকার নিমাই তীর্থ ঘাট পরিদর্শন। বৈদ্যবাটি পৌরসভা এলাকার নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে গঙ্গাজল নিয়ে বাবার ধাম তারকেশ্বর যাত্রা করেন অগণিত ভক্ত জল ঢালতে। গত দুবছর করোনার কারণে বন্ধ থাকার কারণে এবছর শ্রাবণী মেলায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে বলেই বৈদ্যবাটি পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসন সূত্রে অনুমান করা হচ্ছে। তাই বিভিন্ন সতর্কতা ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বৈদ্যবাটি পৌরসভা এলাকায় গঙ্গার ঘাট গুলি পরিদর্শন করলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা এবং শ্রীরামপুর থানা ও শেওড়াফুলি ফাঁড়ি’র বিভিন্ন আধিকারিকরা। পৌরসভার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। সিসিটিভি থেকে শুরু করে একেবারে ইলেকট্রিসিটি ডেকোরেটর সকল দপ্তরের অফিসাররাও এদিন হাজির ছিলেন।
শুধু হুগলি জেলা নয় সারা ভারতবর্ষ সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থীরা আসেন পূর্ণ লাভের আশায়। শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবটি স্টেশনে ট্রেন থেকে নামার পর তাদের প্রধান গন্তব্যস্থলই হয়, বৈদ্যবাটি পৌরসভার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাট গুলিতে বিশেষ করে ঐতিহাসিক নিমাইতীর্থ ঘাটে, এবং এই ঘাটেই ভক্তবৃন্দদের ভিড় প্রচুর পরিমাণে হয়। সকলেই চান নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে জল তুলে তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে। সেই কারণে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত শ্রীরামপুর থানাও সজাগ এবং সতর্ক। বৈদ্যবাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পানিহাটি ঘটনা থেকে আরও সতর্ক পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা।
এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এই শ্রাবণী মেলা যাতে নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ করা যায় তার জন্য সচেষ্ট সকলে। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে শুরু করে তারকেশ্বর যাওয়ার রাস্তায় দু’ধারে মেলা চলে প্রায় এক মাস ধরে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দদের গাড়ি রাখা নিয়েও একটা সমস্যা তৈরি হয়। এরপর গঙ্গায় চান করে জল নিয়ে বাবার উদ্দেশ্যে তারকেশ্বর যাত্রা।
এই শ্রাবণী মেলাকে কেন্দ্র করে সকল দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দরা সুরক্ষা ও সতর্কতার মধ্যেই এগিয়ে যাবেন তারকেশ্বর ধামের উদ্দেশ্যে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই পুলিশ প্রশাসনের এই পরিদর্শন। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিকাঠামো গড়ে তোলায় বৈদ্যবাটি পৌরসভা পুলিশ প্রশাসনের প্রধান কাজ বলে জানালেন বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।