শুভদীপ দে, হুগলি: ৬ মাস বন্ধ থাকার পর হুগলির কুন্তীঘাট এর কেশোরাম রেয়ন কারখানার গেট খুলল বড়দিন আর বর্ষবরণের আগেই। কারখানা খোলায় খুশি শ্রমিকরা, গত ২২ জুন ২০২১ কারখানা কর্তৃপক্ষ পুরো প্লান্ট জার মধ্যে রাসায়নিক বিভাগ ও টিস্যু পেপার বিভাগে নোটিশ দিয়ে সাসপেনশন অফ ঘোষণা করেছিল। করোনা কালে আর্থিক সংকট, উৎপাদিত মাল বিক্রি কমে যাওয়া, মাল মজুদ হয়ে যাওয়া, কাঁচামালের যোগান না থাকার কারণ দেখিয়ে সাসপেনশন অফ নোটিশ করে দেয়া হয়। স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ে। কারখানা খোলার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন, কুন্তীঘাট এর রেয়ন গেট এ ৫ শ্রমিক ইউনিয়ন কে নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থান করেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
একাধিক বার শ্রমদপ্তরএ ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়া স্বত্তেও কারখানা খোলেনি। রেয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল যেসব স্থায়ী শ্রমিকের বয়স ৪৫ পেরিয়েছে তাদের স্বেচ্ছা অবসর নিতে হবে, না হলে কারখানা চালানো যাবেনা। স্বেচ্ছা অবসর এর মূল্য তিন লাখ টাকা ধার্য করা হয়। যাদের চাকরি বাকি আছে তাদেরও অবসরে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। যা মানতে চায় না শ্রমিকরা। শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বৈঠকে সরকারপক্ষ জানিয়ে দেয় কারখানার গেট খুলে আলোচনা করতে। অবশেষে গতকাল কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়ন গুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় এবং স্বেচ্ছা অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৫৩ করা হয়, যার যত বেশি ভাতা সে ততো বেশি টাকা পাবে, ঠিক হয় বৈঠকে। এর পরে বেশ কিছু আলোচনার মাধ্যমে কারখানার গেট খোলে। এতে স্বভাবতই খুশি কারখানার শ্রমিকরা এবং তাঁরা একে অপরের মধ্যে আসন্ন বড়দিন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।