রাহুল আঢ্য, বসিরহাট: বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সামাজিক সুফল ও কুফল ভুগছে গোটা মানব সমাজ। বিজ্ঞানের প্রচন্ড অগ্রগতির ফলস্বরূপ আমরা হাতের নাগালে মোবাইল ফোন নামক যন্ত্র পেয়েছি, যা হয়তো আমাদের অনেক কাজ সহজ করে দিচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে এই এই যন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এই মোবাইল ফোনের ব্যবহারের জেরে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে খুদেরা ঘর বন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। একেতে লকডাউন, তার ওপরে হাতে দামি দামি সব ডিভাইস; যা এই নব্য প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। বিবেকানন্দ বলে গিয়েছিলেন, সুস্থ সমাজ গড়তে খেলার মাঠে যেতে হবে। তাই নতুন প্রজন্মকে মাঠ মুখী করতে অভিনব উদ্যোগ বসিরহাটে। দীর্ঘদিন ধরে ফুটবলের শহর হিসেবে পরিচিত বসিরহাটে ক্রিকেটের উন্মাদনাও কম ছিল না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পরিকাঠামো, সঠিক লীগ ও অর্থাভাবে ক্রিকেট বসিরহাটের বুক থেকে একপ্রকার মুছে যেতে বসেছিল। তাই বসিরহাট প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট কমিটি ক্রিকেটে বসিরহাট প্রিমিয়ার লিগ করার পথে এগিয়েছে।
আট দলের এই টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করবে মোট শতাধিক নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটার। বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে শুরু করে সুন্দরবন পাশাপাশি টাকি, বাদুড়িয়া, হাসনাবাদ ও বসিরহাটের মতো শহরের তরুণ তুর্কি ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। দীর্ঘদিন ধরে বসিরহাট মহকুমায় একটি ক্রিকেট লিগ চললেও সেটি সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে ধুকতে বসেছিল। পাশাপাশি ক্রীড়াবিদরা খেলে ঠিকঠাক টাকা না পেয়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সেই অর্থাভাব কাটিয়ে তাদের ক্রিকেটে রাখতে এক প্রকার আইপিএলের ধাঁচে নিলামের মাধ্যমে ক্রিকেটার কেনা-বেচার এই নতুন প্রয়াস।
এদিন বসিরহাটে অনুষ্ঠিত এই নিলামে একাধিক দলের কর্মকর্তারা যোগদান করেন এবং নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে নিলাম করে ক্রিকেটারদের কেনাবেচা করা হয়। যার জেরে নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন দ্বার খুলে গেল। কারণ ক্রিকেটারদের সবথেকে বড় সমস্যা অর্থ। সেই অর্থের সমস্যা কাটতে চলেছে। এই লিগের মাধ্যমে আগামী দিনে বসিরহাট থেকে নতুন তারকা ক্রিকেটার উঠে আসবে এমনটাই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।