নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রীয়করণের ৫২ তম বর্ষ উদযাপন চলছে। ১৯৬৯ সালের ১৯ জুলাই ভারতবর্ষে ১৪টি বেসরকারি ক্ষেত্রের ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রীয় করণ হয়েছিল। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সর্বভারতীয় অফিসার্স সংগঠন ফেডারেশন অফ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশন এই জুলাই মাসটাকে ব্যাংক জাতীয়করণ মাস ঘোষণা করেছে। অপরদিকে ইদানীং রোজ রোজ নীতি আয়োগের মুখ দিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নাম করে সেগুলিকে বেসরকারি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর এর প্রতিবাদে তাঁদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে বলে জানালেন আইবক ও আইনবফের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস। তিনি আরও জানান এই মূহুর্তে টুইটার প্রচারই সবথেকে জনপ্রিয় জনসমর্থন আদায়ের জন্য তাই তাঁরা আজ সমগ্র ভারত ব্যাপী টুইটার প্রচার চালাচ্ছেন #Bank PrivatizationSuicidal শীর্ষক হ্যাশট্যাগে। তিনি জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারী ব্যাঙ্কগুলি সম্পর্কে যে নীতি, তার বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ এবং তাঁদের আগের তিনটে টুইটার প্রচার বিরাট সাড়া জাগিয়ে সমগ্র ভারতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। তাঁরা আশাবাদী এই টুইট ট্রেন্ডিং হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।
আইবক ও আইনবফের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় বাবু বলেন, ‘সরকার বোধ হয় বুঝেই উঠতে পারছেন না কি করবেন। কারণ সরকার বাহাদুরও জানেন সরকারি ব্যাঙ্ক বেসরকারি করে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সরকারি প্রকল্প গুলো কারা বাস্তবায়িত করবে? আমজনতার কষ্টের পয়সা কারা দায়িত্বের সঙ্গে রাখবে। কারা সরকারকে ডিভিডেন্ড ও ট্যাক্স দেবে? কিন্তু ওদিকে আবার কর্পোরেটরা বায়না ধরেছে ব্যাঙ্ক কিনবে বলে। কোনদিকে যাবে। তাই যথেচ্ছ ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আস্থা সরকারের ওপর থেকে চলে যাচ্ছে। নতুন যারা শিক্ষিত যুবক যুবতী ব্যাঙ্কের চাকরিতে ঢুকেছেন তারাও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে সরকারের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও প্রায় সব কটি ব্যাংক লাভের মুখ দেখেছে।’ আইবক ও আইনবফের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানান, ‘আই সি আর এ রেটিংস এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে সব ব্যাঙ্ক গুলোর মিলিত মুনাফার পরিমান ৩২৮৪৮ কোটি। অতএব সরকারী ব্যাঙ্কগুলো দুর্বল তাই বেচে দেওয়া হচ্ছে এটাও বলা যাবে না। কোনো একটা রাস্তা খুঁজে বার করার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নাম আসছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। আমাদের কাছে কোনো ব্যাঙ্কের নাম বেসরকারিকরণের জন্য গ্রহণ যোগ্য না। যে কোনো একটি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের পথে গেলেই ব্যাঙ্ক নির্বিশেষে সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী ঝাঁপানোর জন্য তৈরি। সমস্ত সরকারি ব্যাঙ্ক একযোগে যে লাভ করেছে তার পেছনে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের অবদান অনস্বীকার্য। ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা অত সহজে তাদের সাধের ব্যাঙ্ককে বিক্রি হতে দেবে না। তিনি বলেন যত তাড়াতাড়ি সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হয় ততোই ভালো।