জ্যোতিষ বিশ্বেশ্বর ব্যানার্জী: জ্যোতিষ শাস্ত্রে অন্যতম বিষয় মানুষের হাত। তাই আজ মানুষের হাত নিয়ে আলোচনা করব। মানুষের হাতের কি কোনও গুরুত্ব আছে জ্যোতিষ শাস্ত্রে? প্রথমত মানুষের হাত চার ধরনের অগ্নি, পৃথ্বী, বায়ু ও জল। হাতের রঙের ক্ষেত্রে হাতকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় গোলাপি, হলুদ ও কালো। অগ্নি প্রধান হাতের বৈশিষ্ট্য হল এদের হাতে প্রধানত তিনটি রেখা দেখা যায় শিররেখা, হৃদয়রেখা ও আয়ুরেখা। এই হাতের মানুষেরা মাথা একটু গরম হয়। একটির বেশি কাজ করে না। সিদ্ধান্ত ক্ষমতা ভালো হয়। এরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে। সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে। ভালো চাকরি করে। পৃথ্বী প্রধান হাতেও এদেরও তিনটি রেখা থাকে, তবে এরা একটু একগুঁয়ে ধরনের হয়। এরা সৌখিন ধরনের হয়। এরা স্থির হয়। একটির বেশি কাজ করে না। বায়ু প্রধান হাতের মানুষেরা খুব ঘুরতে ভালোবাসে এদের গ্যাস অম্বলের সমস্যা থাকে। জল প্রধান হাতের মানুষদের হাতে অসংখ্য রেখা থাকে এবং এদের হাত ঘামে এদের ভাগ্য উত্থান পতনে ভরা। কখনও ভালো তো কখনও খারাপ এরা ছন্নছাড়া হয়। এরপর আসি রঙের ভিত্তিতে। যাদের হাতের রঙ গোলাপি তারা খুব অভিমানী হয়, এবং এই হাতে অর্থও থাকে। যাদের হাতের রঙ হলুদ রঙের তাদের জন্ডিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের কালো হাত তাদের পেটের রোগ, কলেরা, আন্ত্রিক, হাড়ের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের হাত সমান করলে আলো ঢোকে তাদের হাতে অর্থ থাকে না। যাদের বুড়ো আঙুল চাপ দিলে পেছনের দিকে বেঁকে যায় তাদের মন খুব নরম হয় এবং তারা অনেক কঠিন সময়েও নিজেকে ঠিক রাখে। যাদের বুড়ো আঙুল গদার মত হয় তাদের কোন শত্রু পরাস্ত করতে পারে না। যাদের তর্জনী ও মধ্যমা অনামিকার দিকে হেলে থাকে তারা কলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করবে। যাদের শিররেখা সোজা অর্থাৎ একেবারে মঙ্গলের দিকে গেছে গেছে তারা খুব শীঘ্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যাদের শিররেখা বেঁকে যায় চন্দ্রের দিকে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তারা কল্পনা পবন হয়।