সৌমাভ মণ্ডল: মানুষের মনকে বিশ্রাম দিতে, পাশাপাশি সময় কাটানোর ও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম বাদ্যযন্ত্র। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে বিভিন্ন রকমের বাদ্যযন্ত্র। কোথাও আছে তবলা, কোথাও আছে বাঁশি আবার কোথাও কোথাও দেখা যায় রক কনসার্টে ড্রাম ও গিটার। কিন্তু বাংলার নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। অনেকে বলে থাকেন ঢোল, তবলা বা হারমোনিয়াম; কিন্তু এগুলি বাংলা থেকে সৃষ্ট কোন বাদ্যযন্ত্র নয়। পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র হলো খোল বা মৃদঙ্গ। দীর্ঘদিন ধরে যখন থেকে বাঙলা বা বাঙালির সংস্কৃতি যাত্রা শুরু করেছে তখন থেকেই বাংলা ও বাঙালির বাদ্যযন্ত্র বলতে ছিল এই খোল। সেই মৃদঙ্গ বা খোলকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার পাশাপাশি সারাদেশ ব্যাপী এই খোলকে ছড়িয়ে দেন তৎকালীন সময়ের শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। আজ, কালের নিয়মে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতির এই বাদ্যযন্ত্র। তাই সেই সংস্কৃতি রক্ষা করতে সুন্দরবনে পথে নামলো কয়েকশো শ্রীখোল। বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের আমবাড়িয়া গ্রামে এক ধর্মীয় সভায় কয়েক’শ শ্রীখোল নিয়ে রাস্তায় নামল কয়েকশো সুন্দরবনবাসি।
আমবাড়িয়া গ্রামেরই বাসিন্দা সুরজিৎ বর্মনের পরিচালনায় ঐ উৎসব উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য একটাই এই খোল বা মৃদঙ্গ শিল্পকে বাংলা সংস্কৃতিতে বজায় রাখা। এই শ্রীখোল বাজনাকে উৎসাহ দিতে নিজের গলায় খোল নিয়ে শোভাযাত্রায় পা মেলালেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল। তিনি জানান, বাংলার নিজস্ব বাজনা এই খোল; সেই সংস্কৃতিকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতেই আমাদের এই উদ্যোগ।