সুফল তর্কালঙ্কার: ওরাও পারে, ওদেরও আছে স্বপ্ন দেখার অধিকার। কেন ওর শুধুমাত্র নিজেদের পরিবারের আর্থিক দুর্দশার কারণে তারা নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম হবে না এই ধরায়? আমাদের সকলের সামান্যতম ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সমাজের ওই সকল শিশুগুলির মুখে যে অনাবিল হাসি ফোটাতে সক্ষম সেটা আমরা যদি প্রত্যেকে নিজেদের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে একটু অনুভব করে এগিয়ে আসি তাহলে কি বিশেষ কোন ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হতে হয় আমাদের? আসলে এর জন্য প্রয়োজন সামান্যতম মানসিক ইচ্ছাশক্তি। ওরাও কিন্তু আমাদের এই সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটা ভাবতে পারলেই আমাদের সমাজ এক অন্য অনন্য রূপে পৃথিবীর সামনে মেলে ধরতে সক্ষম হবে আমাদের স্বপ্নের ভারতকে। আর কিছুটা হলেও নিজেদের হৃদয়ের ডাককে উপেক্ষা করতে না পেরে এই বাঙ্গালর সাংস্কৃতিক রাজধানী তিলোত্তমা কলকাতার বুকে ২০১৮ থেকে কাজ করে চলেছে দীপক ফাউন্ডেশন। মূলত পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি প্রচার বিমুখ হয়ে নীরবে কাজ করে চলেছে পথশিশুদের সার্বিক বিকাশে।
আরও পড়ুন: মহিলাদের ধর্ষণ করা এই রাজ্যে অতিমারির আকার নিয়েছে-অগ্নিমিত্রা পল
এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সমর্পিতা ওমেন্স ট্রাষ্ট ও আশার আলো নামক অন্যদুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মিলে ২০২১এর প্রথম দিনে কলকাতার বুকে আয়োজন করেছিল এমন এক অনুষ্ঠান যা এককথায় অভিনব। অভিনব এই প্রয়াস ভরে উঠেছিল ১ জানুয়ারী, ২০২১ এ উত্তর কলকাতার ভূতনাথ ঘাটে আয়োজিত পথশিশুদের বিকাশে তাঁদের নিয়ে এক বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও প্রায় ২০০র অধিক পথ শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে নজির সৃষ্টি করলেন দীপক ফাউন্ডেশন ইংরাজী বছরের প্রথম দিনে। তাঁদের এই কাজে তাঁদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছিল কলকাতা পুলিশ কতৃপক্ষ। দীপক ফাউন্ডেশনের পক্ষে জয়িতা দাশগুপ্তা জানান তাঁরা আগামী দিনেও এই রকম ভাবে পথশিশুদের বিকাশে সর্বদাই এগিয়ে আসবে এর জন্য তাঁরা সকলের আশীর্বাদ কামনা করে।
আরও পড়ুন: এরা তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও আগামীতে জমি চোর বলবে- ফিরহাদ হাকিম