সৌমাভ মণ্ডল, বসিরহাট, সংবাদ প্রতিখন: বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার বাঙলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বাদুড়িয়া থানার বছর ৩০ এর গৃহবধূ গত ২০শে অক্টোবর মঙ্গলবার গিয়েছিল আত্মীয়র বাড়ি স্বরূপনগর থানার বাংলানী গ্রামে। সেই সময় পূর্ব পরিচিত এক যুবকের মোবাইল ফোনের ডাকে সাড়া দিয়ে ওই দিনই রাত আটটা সেই গৃহবধূ গিয়েছিল পূর্ব পরিচিত সেই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে। বাংলানি গ্রামে এলাকারই দোতলা বাড়িতে দরজা-জানালা খোলা অবস্থায় ওই গৃহবধূ যখন বছর পঁয়ত্রিশের সেলিম মন্ডলের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় মত্ত, সেই সময়ে বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে যুবক এবং গৃহবধূকে পরকীয়া সন্দেহে ব্যাপক মারধর করে। তারপর প্রায় ৫০ হাজার টাকা তাদের কাছে চায়, পরে জোরপূর্বক যুবক সেলিম মন্ডলের কাছে থেকে আদায় করে নেয় বলে অভিযোগ। এরপর দুষ্কৃতিকারীরা মোটা টাকা দাবি করে ঐ গৃহবধূর কাছে। না দিতে পারলে সারা রাত ধরে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ নির্যাতিত গৃহবধূর। বাড়ির মালিক ইসলাম গাজী, মনসুর গাজী ও বাড়ির মালিকের স্ত্রী মাসুরা বিবি এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এই অপকর্মে সহযোগিতা করেছিল বাড়ির মালিকের স্ত্রী মাসুরা বিবি।
অভিযুক্ত তিনজনের বাড়ি বাংলানি গ্রামেই। ঐদিন রাতে নির্যাতিতাকে সারারাত ধরে মারধর ও শারীরিক অত্যাচার করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই গৃহবধূ। পাশাপাশি বলেন, বাংলানি পঞ্চায়েতের হঠাৎগঞ্জ গ্রামের এক প্রভাবশালী নেতার প্রত্যক্ষ মদতে এই কাজ হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন ভোররাতে যে বাড়িতে গৃহবধূ ধর্ষিতা হয়েছিল, স্বরূপনগর থানার পুলিশ সেই বাড়ির মালিক ইসলাম গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
নির্যাতিতা গৃহবধূ আদালতে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। গৃহবধূ এই অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি স্বরূপনগর থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে এর পিছনে পূর্ব পরিচিত যোগাযোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি অন্য কোনো শত্রুতা আছে কিনা সেটাও তদন্তে রাখছে। তবে নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা গৃহবধূর পূর্বপরিচিত বলে মনে করছে পুলিশ।