সৌমাভ মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগণা: বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার কুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর সাতচল্লিশের হেড কনস্টেবল পিন্টু মণ্ডল সিআরপিএফ জওয়ান শ্রীনগরে কর্মরত ছিলেন। ৩২ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি করেছেন। ২৭শে জুলাই সোমবার সকালে স্ত্রী রেবা মন্ডলের কাছে মৃত্যুর খবর আসে। খবর দেওয়া হয় তার স্বামী করোনা পজিটিভ ছিলেন ও নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু রবিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে পিন্টুর ভিডিও কলিং এ কথোপকথন হয়। ঠিক পরের দিন সোমবার সকালে ৯ ঘন্টার মধ্যে তার মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছায়। পরিবারের অভিযোগ তার মাথায় পিছন থেকে গুলি করে খুন করেছে তার সহকর্মীরা। এর বিচার বিভাগীয় সঠিক তদন্ত চায় পরিবার। তার কাছে অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্র ছিল। সেটা নিয়েই বেশ কয়েক মাস ধরে ঝামেলা চলছিল দাবি পরিবারের। পরিকল্পিতভাবে সহকর্মীরা খুন করেছে বলে দাবি পরিবারের। করোনার অজুহাত দেখিয়ে মৃতদেহ বাড়িতে পাঠাচ্ছে না সিআরপিএফ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাদুড়িয়ার মণ্ডল পরিবারে। ক্ষোভ উগরে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি একজন সিআরপিএফ জওয়ান যে কোয়ার্টার মাস্টার ছিলেন ও দেশ সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তার মৃত্যুর সঠিক কারণ পরিবারকে জানানো হোক।
মৃত সিআরপিএফ জওয়ানের স্ত্রী রেবা মন্ডল জানিয়েছেন তার স্বামীর সহকর্মী সুরজিৎ সিং, জয় চন্দ্র, সলমান মুখরামরা তাকে পরিকল্পনা করে গুলি করে খুন করেছে। বাড়ির সঙ্গে শেষবার যখন কথা হয় তখন পিন্টু মণ্ডল এই শত্রুতার কথা এবং সহকর্মীদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন স্ত্রী রেবাকে। গত একমাস আগে ঐ সিআরপিএফ জাওয়ানের বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনে বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকার ফলে তিনি বাড়ি আসতে পারেননি।
এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে পরিবার এবং মৃতদেহ পরিবারকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আধাসেনার আধিকারিকদের কাছে। মৃত সিআরপিএফ জওয়ানের দুই ছেলে বছর কুড়ির দেবকুমার ও বছর একুশের রাজকুমাররাও সঠিক তদন্ত চেয়েছেন এবং মৃতদেহ পরিবারকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।