সৌমাভ মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগণা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এমনই প্রশংসা শোনা গেল বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের গলায়। হাসনাবাদের ভবানীপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মডেল বাজারে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের শিক্ষা ও তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজী সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে সভার মধ্য দিয়ে আম্ফানের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ত্রাণ পৌছে দেন। তিনি বলেন, এই ব্লকে ৪৪ হাজার পরিবার আছে। দল-মত-নির্বিশেষে রাজ্য সরকার সকলের পাশে রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন সুন্দরবনে আধুনিক সরকারি হাসপাতালের অনুকরণে একটি হাসপাতাল হবে। সেখানে সম্পূর্ণ বিনা খরচায় সুন্দরবনের মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবে। আজকের এই সভা থেকে শুধু হাসপাতাল নয়, অডিটোরিয়ামের কথাও ঘোষণা করা হয়। এছাড়া তিনি বলেন আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। করোনা ভ্যাক্সিন আসতে এখনো তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। আপনারা সামাজিক গুরুত্ব মেনে চলুন কারণ এই রোগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালাতে হবে। পাশাপাশি এই রোগে আক্রান্ত হলে বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচা। যেটা আমাদের গরিব মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। আপনারা একটু স্বাস্থ্যসচেতন সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনকে মান্যতা দিন। বিপদের দিনে সবাই সুস্থ থাকার জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। ফিরোজ কামাল গাজী বলেন, সবার উপরে মা আছেন সন্তানদের ক্ষতি হতে দেবেন না। কিছু রাজনৈতিক দল বদনাম করার চেষ্টা করছে। তাতে লাভ হবে না। ইতিমধ্যে ভবানীপুরে আয়লা সেন্টারে ৪০টি কোভিড বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন সুন্দরবনের আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ শতাধিক পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু, বাচ্চাদের দুধ, বিস্কুট, স্যানিটাইজার, ডিএম কিট, ত্রিপল ও মাস্কও তুলে দেওয়া হয়।