ঝড়ে বাঁধ ভেঙে ঘরে জল ঢুকে ভেসেছে অ্যাডমিট ও বই খাতা, বিপাকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা

IMG-20200526-WA0004সৌমাভ মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগণা:  বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ সহ বসিরহাট ১ ও ২নং, বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর ব্লকের বিস্তীর্ণ গ্রাম এখনো জলের তলায়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। যার ফলে একদিকে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে অন্যদিকে পানীয় জলের সমস্যা। তার মধ্যে চরম ফ‍্যাঁসাদে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে লকডাউনের জন‍্য পিছিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক।আগামী মাসে উচ্চ মাধ্যমিকের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ২০শে মে রাজ্যের উপর আম্ফানের তান্ডব লীলায় বহু গ্রাম জলের তলায়। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। তার মধ্যে বিপাকে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের সংগ্রামপুর-শিবহাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারডাঙ্গার প্রিয়তমা, সুমনা, নার্গিস, রাহুলরা এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। ইছামতি নদীর বাঁধ ভেঙে তাদের বই-খাতা সহ উচ্চমাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশান জলে ভেসে গিয়েছে। তারা খোলা আকাশের নিচে বা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ, জল, খাদ্য ও বাসস্থান অর্থাৎ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুও শেষ হয়ে গিয়েছে। সময় যত যাচ্ছে আমফানের ধ্বংসলীলার ছবি ততই স্পষ্ট হচ্ছে। “জীবন বাঁচাব না পরীক্ষা দেবে?” এখন এরকম কথাই শোনা যাচ্ছে পরীক্ষার্থীদের গলায়। ঝড়ের তাণ্ডবে বাড়ি ভেঙে পড়েছে, চাল উড়ে গিয়েছে, বই খাতা নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। পাশাপাশি লকডাউনের জন্য ত্রাণের যে চাল মজুদ করে রেখেছিল সেটাও নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। পরীক্ষা দিয়ে আগামী দিনের কেরিয়ার তৈরি করবে পরীক্ষার্থীরা না জীবন বাঁচাবে? লড়াইটা খুব কঠিন। চোখে মুখে হতাশা আর আতঙ্কের ছাপ। চোখ খুললেই চারিদিকে জলের কলকলানি। একটাই প্রার্থনা কি করে বেঁচে থাকব আগামী দিনগুলো।

error: Content is protected !!

Discover more from Sambad Pratikhan

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading