রুহুল আলম, মালদা : চতুর্থ দফার লকডাউনে রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলা জুড়ে খোলা হয়েছে সমস্ত দোকানপাট৷ শুধুমাত্র হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লক এবং কালিয়াচকের জালালপুর ও সুজাপুর ছাড়া জেলার প্রতিটি জায়গায় সব ধরনের দোকানপাট খুলেছে বৃহস্পতিবার থেকে, তবে রেস্টুরেন্ট, মল, ধাবা সহ খাবারের দোকান খোলা যাবে না৷ হোটেলও খোলা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বোর্ডারদের কয়েকদিনের জন্য রুম বুক করতে হবে৷ এছাড়া আর কোথাও কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। দোকান খোলা যাবে সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত৷ তবে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লক, কালিয়াচক ১ ব্লকের জালালপুর ও সুজাপুর এবং ইংরেজবাজারের অমৃতি ও মিলকি এলাকায় কোনও দোকান খোলা যাবে না৷ জেলা জুড়ে রয়েছে করোনার আতঙ্ক। সেই মতো করে মালদায় সামাজিক দূরত্ব বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঈদের কেনাকাটায় মেতে উঠল মালদাবাসী। এমনটাই দেখা গেল শহরের চিত্তরঞ্জন মার্কেটে। প্রত্যেকটি দোকানেই হুড়োহুড়ি করে ক্রেতাদের ভিড়, এমনকি শহরের রাস্তায় যানবাহন চলাচলের মাত্রাটাও অধিক। ক্যামেরার সামনে না আসলেও এ বিষয়ে এক ভ্যানচালক জানায়, করোনা ভাইরাসের জন্য দুই থেকে আড়াই মাস জেলায় সমস্ত কিছুই বন্ধ ছিল। ধীরে ধীরে সব কিছুতেই ছাড় মিলছে। এমনকি ঈদ উৎসবের জন্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন দোকানপাট খোলার অনুমতি মিলেছে। তবে মানা হচ্ছেনা কোনো সামাজিক দূরত্ব এবং কন্টেনমেন্ট জোন এলাকা থেকেও বহু ক্রেতা বাজার করতে আসছে। তাতে এলাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।