নিজস্ব সংবাদদাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী এন.আর.সি., সি.এ.এ. ও এন.পি.আর. এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছেই। আর এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ পথিকৃত্ সেই কথা আমাদের সকলেরই জানা। আন্দোলনের নানা রকম পদ্ধতি আমাদের নজরে এলেও সম্প্রতি কলকাতায় এই জনবিরোধী আইনের বিরোধীতার এক অভিনবত্ব প্রকাশ পেল, উত্তর কলকাতার আলোয় ফেরার ১৭০ জনের গণবিবাহের আসরে। বিশ্ব প্রেম দিবসের এই আসরে হিন্দু, মুসলিম, খৃষ্টান, আদিবাসী সকল সম্প্রদায়ের ৮৫ জোড়া হাত এক করলেন কলকাতা কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও আলোয় ফেরা সামাজিক সংগঠনের সম্পাদক গৌতম হালদার।
উল্লেক্ষ্য এই নিয়ে আলোয় ফেরার এই গণবিবাহ নবম বর্ষে পদার্পণ করল। উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে নবম বর্ষের আলোয় ফেরার এই ১৭০ জনের গণবিবাহের শুভ সূচনা করেন বিশ্ব ভালোবাসার দিনের সায়াহ্নে। উল্লেক্ষ্য আলোয় ফেরার পক্ষ থেকে এদিন নবদম্পতিদের হাতে উপহার স্বরূপ খাট, বিছানা, আলমারী, সাইকেল, সেলাই মেশিন, চটি, স্টোভ, তেল, মশলা ইত্যাদি নানান সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়, যা এককথায় যে কোনও গণ বিবাহে বিরল দৃষ্টান্ত।
আলোয় ফেরার সম্পাদক ও কলকাতা কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গৌতম হালদার বলেন, ভারতের বৈচিত্র হচ্ছে নানা ভাষা, নানা মোট নানা পরিধান, এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ, ধর্মান্ধতার সকল প্রচেষ্টা তাঁরা মানতে পারেন না, এবং দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। এর সঙ্গে তিনি সমবেদনা প্রকাশ করেন আজ থেকে এক বছর আগে পুলওয়ামায নিহত দেশের জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এই ধরনের মহতী প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে যে বার্তা সমাজে পৌঁছে দিচ্ছেন এই সংগঠন সেটি আমরা যাই করি আমরা দেশের নাগরিক। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের কর্মসূচী বেশি পছন্দ করেন, সাধারণ মানুষের কাছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা পৌঁছে সাধারণের কতটা কাজে লাগতে পারেন।
সুদীপ বাবু ৮৫ জোড়া নারী-পুরুষকে তাদের আগামীর শুভেচ্ছা জানান। তিনি এর সঙ্গে বলেন একসঙ্গে এত বড় আকারের গণবিবাহের আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।