স্বরূপম চক্রবর্তী: “ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে” এই আপ্ত বাক্যটি আমাদের সকলের খুবই পরিচিত। আমরা আমাদের পরিবারের সকল শিশুদের এমন ভাবে মানুষ করতে চাই যাতে আগামীতে তাদের কোনও ক্ষতির সম্মুক্ষিন বা বাধার সম্মুক্ষিন না হতে হয়। অথচ আমাদের সমাজের প্রান্তিক, দরিদ্র এবং রাজপথের দুপাশে ধুলো মেখে বড় হয়ে ওঠা শিশুদের শৈশব যে সততই চুরি হয়ে যাচ্ছে সেদিকে আমরা কতজন সেভাবে নজর দিচ্ছি বা ভাবছি? যদিও বা আজকাল এই সমাজের কিছু মানুষ দলবদ্ধ হয়ে কিছুটা লোকদেখানো, দায়সারা ভাবে এই সকল শিশুদের উন্নতির জন্য নিজেদের কুম্ভীরাশ্রু বর্জন করে লম্বা চওড়া বুলি আওড়ান, কিন্তু তাতে কতটা উন্নতি হয় এই সকল অবহেলিত, নিপীড়িত পথশিশু সহ গরীব প্রান্তিক শিশুদের? এ প্রশ্ন আজ কি একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। আসলে আমরা নিজেরা সদাই ব্যস্ত নিজেদের আত্মপ্রকাশ করতে। তাই কিছুটা হলেই আমরা আমাদের আসল লক্ষ থেকে কোনও না কোন ভাবে বিচ্যুত হয়ে পড়ছি। আসার কথা আমাদের সমাজে এখনও এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নীরবে ঢাক-ঢোল না পিটিয়ে এই কাজে নিজেদের নিমগ্ন করে রেখেছেন, যাঁদের অকৃপণ হাত সদাই ব্যস্ত সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর শিশুদের উন্নতিতে। যে কারণে এই লেখা, সেটির মূল বিষয়ও এইটা। আমাদের সমাজের সেই সকল মানুষদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের অভিনেতা সুপারস্টার রজনীকান্ত, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীত শিল্পী লতা রজনীকান্ত বেশ কয়েকবছর আগে বানিয়ে ফেলেছেন এমন এক সংগঠন যাঁরা প্রকৃত ভাবেই সদা ব্যস্ত সমাজের এই সকল শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ক্ষেত্রের উন্নতিতে। শ্রী দয়া ফাউন্ডেশন এর ছাতার তলায় আজ নিজেদের সাবলম্বী করে তুলছে এই সকল প্রান্তিক শিশুদের দল।
সম্প্রতি এই রাজ্যের এক অলাভজনক সামাজিক সংগঠন দক্ষিণ কলকাতার পূর্ণ দাস রোডের শ্রী দীপক ফাউন্ডেশন একসূত্রে মিলিত হয়েছে ভারতের দক্ষিণের সনামধন্য দয়া ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। দীপক ফাউন্ডেশনের পক্ষে সংস্থার চেয়ারপার্সন জয়িতা দাশগুপ্ত’র স্বপ্ন আগামীতে এই রাজ্যের অধিকাংশ প্রান্তিক, দলিত ও পথশিশুদের প্রকৃত শিক্ষা প্রদান করে, তাদের স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনের সঠিক লক্ষে এগিয়ে যাওয়া। জয়িতা দাশগুপ্ত’র মানসিক ইচ্ছার ফসল আজ চারাগাছ থেকে আগামীর মহীরুহতে রূপান্তরিত হবেই এটা তাঁর অদম্য উত্সাহ ও মানসিক ইচ্ছার মিশ্রণে, সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রয়েছেন সেই শ্রী দয়া ফাউন্ডেশন।