স্বরূপম চক্রবর্তী: সময়টা ১৯৭৪, পথ চলা শুরু করেছিল দক্ষিণ কলকাতা ক্রীড়া ও সংস্কৃতি পরিষদ বা সেবা পরিষদ। মান্যবর অজয় কুমার দাসের ঐকান্তিক ইচ্ছার সেদিনের সেই ছোট্ট চারাগাছ আজ অর্ধ শতকের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছে কলেবরে বৃদ্ধি পেয়ে মহীরুহতে পরিণত হয়ে। তেলা মাথায় তেল দেওয়া নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষগুলো যাদের কথা কেউ ভাবে না, যাদের জীবন কাটে সর্বদা নানা অবজ্ঞা ও অবহেলায়, তাদের কথা ভেবেই এবং আমাদের সমাজের উন্নতিতে কিছু করার লক্ষ্যেই অজয় বাবু সমাজের বুকে জন্ম দিয়েছিলেন এই সেবা পরিষদ। ধর্মীয় গণ্ডির উর্দ্ধে সেবাই পরম ধর্ম এই সুরে সুর মিলিয়ে পথ চলছে এই পরিষদ। তাই সেবা সকলের, সবকর। সরকারী স্বীকৃতি সহ আজ পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের নানান প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে সেবা পরিষদের নানান সাক্ষা নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে। বিগত ৪০ বছর ধরে এই সংগঠন অনুষ্ঠিত করে চলেছে সেবা উত্সব। চক্ষু দান ও দেহ দান, স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির, বীনা ব্যয়ে চক্ষু অস্ত্রপচার, গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে বিশেষ আলোচনা সভা, সঙ্গীত, নৃত্য, অঙ্কণ, আবৃত্তি, যেমন খুশি সাজো, বঙ্গ নারী, বিতর্ক, কুইজ, শিশু স্বাস্থ্য সমেত নানান সর্বভারতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সেবা পুরস্কার প্রদান, সেবা রত্ন, সেবাব্রতী, সেবাশ্রী, শারদিয়া, দীপাবলি ও জগদ্ধাত্রী সেবা শিরোপা প্রদান, সেবা কলা ও বিকাশ সমারোহ, যোগাসন, কবি সম্মেলন, বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাত্রানুষ্ঠান, গ্রামীণ সংস্কৃতি, বাউল মেলা, সুন্দরবন সহ নানা স্থানের উত্সব নিয়ে এই বছরও সেবা আয়োজন করেছে তাদের ৪১ বছরের সেবা উত্সবের।
এই বছর সেবা উত্সবের শুভারম্ভ হতে চলেছে আগামী ১৯ জানুয়ারী পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের হাত দিয়ে। উত্সব চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী অবধি। সেবার সাংগঠনিক সচিব সেবব্রত দাস জানালেন আগামীকাল অর্থাত্ ১৯ জানুয়ারী দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্ক থেকে সেবা-শান্তি ও মৈত্রীর বার্তা নিয়ে এক প্রায় শতাধিক মানুষ বহন করে আনবেন পবিত্র মশাল, এবং সেই মশালের অগ্নিশিখায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শুভ উদ্বোধন করবেন ৪১ তম সেবা উত্সবের।