ত্রিপুরায় শিশুশ্রমিক রুখতে সচেতনতা অভিযান

123.jpgত্রিপুরা থেকে শিবজ্যোতি মল্লিক: ০৬ জানুয়ারি সকালে ত্রিপুরার পানিসাগর নগর এলাকার পানিসাগর বাজারে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি এবং চাইল্ড লাইন ধর্মনগর জাম্পুই সাবসেন্টারের যৌথ প্রয়াসে অপ্রাপ্তবয়সের শিশু শ্রম রোধে চালানো হয় এক সচেতনতা মূলক অভিযান। উক্ত সচেতনতামূলক অভিযানে নেতৃত্ব দেন সি,ডব্লিউ, সি,এর সদস্য শক্তি নারায়ন ভৌমিক, মিহির রন্জন দেব নাথ, তপতি দাস, সুমিএা ধর, এবং চাইল্ডলাইন ধর্মনগর জাম্পুই সাবসেন্টারের সদস্য অন্কিতা দেব, পুষ্প রায় সহ পানিসাগর আরক্ষা প্রশাশনের কর্মকর্তাগন। অভিযান চলাকালে পানিসাগর বাজারের সবকটি ষ্টল, রেষ্টুরেন্ট, গ্যারেজ, বেকারি, মূদিখানা, শপিংমলে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি গ্যারেজে এবং দোকানে মোট এগারোজন অপ্রাপ্ত বয়সের শিশু শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়। এদের সাথে একান্ত সাক্ষাতে যানা যায় যে, এদের সকলের পারিবারিক অসচ্ছলতা এবং শিক্ষার অনগ্রসরতার ফলে আজ এরা অসহায় হয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহের দরুন এই পথ বেছে নিয়েছে। আর এই দুর্বলতার সূযোগ নিচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যাবসায়ীগন। কম পয়সায় অধিক পরিশ্রম করিয়ে নিচ্ছে তারা। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ঢিল ছুড়া দূরত্বে পানিসাগর শ্রমদপ্তরের অস্থায়ী কার্যালয় থাকা সত্বেও গোটা পানিসাগর বাজারে এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ কি করে সম্ভব হয় তানিয়ে এলাকায় গুন্জন চলছে।12345.jpg এই ধরনের সচেতনতামূলক অভিযানের অঙ্গহিসেবে পানিসাগর জ্বলেবাসা এলাকায় কয়েকটি ইটভাট্টায় গিয়ে  শ্রমিকদের জীবন যাএার মান পরিলক্ষিত করতেগিয়ে এস.আর.আই. নামক সম্ভ্রান্ত ইটভাট্টায় একটি মহিলা শিশু শ্রমিকের সন্ধান মেলে। ওর সাথে কথা বলে যানা যায়, ওর নাম হিমা কুমারি(কল্পিত নাম) বয়স ১৪ পিতা-জগন্মিত ওরাং, বাড়ি ডাওকি, থানা-গাগরা, ঝাড়খন্ড।যানা যায় সে গাগরা স্কুলে অষ্টমশ্রেনিতে পড়াশোনা করত। পারিবারিক অসচ্ছলতাকে হাতিয়ার করে রাঁচীর বস্মনপুর, গোকরা জেলার বাসিন্দা মহেশ উরাং ওকে ফুসলিয়ে ঐ ভাট্টায় নিয়ে আসে এবং কাজে নিযুক্ত করে। ভাট্টামালিকও কমখরছে অধিক মুনাফার লোভে শিশু শ্রমিক জেনে শুনে অবৈধভাবে কাজে নিযুক্ত করে। ভারত সরকারের শ্রম আইন কে বৃদ্বাঙ্গুল দেখিয়ে গোটা রাজ্যজুরে চলছে এই ধরনের অবৈধ কাজকারবার।

%d bloggers like this: