স্বরূপম চক্রবর্তী: বর্তমান ভারতের যে পরিস্থিতি সেই পরিস্থিতিতে আমাদের আজ বড়ই প্রয়োজন ছিল বিদ্যাসাগরের মতন একজন ব্যক্তিত্বকে, যাঁর তেজস্বিতায় পরাজিত হতো সকল অন্ধ কুসংস্কার, যা আমার- আপনার সকলের মনের মধ্যে এখনও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে, আর তার প্রমাণও আমরা আমাদের নানান কাজের মধ্যে প্রায়শই দিয়ে থাকি। আজ আমাদের দেশে এই মূহুর্তে বেশি করে প্রয়োজন বজ্রকঠিন অথচ আধুনিক এবং দয়ালু ওই মানুষটিকে, যাঁর অবদানে আমাদের সমাজের পর্দানসীন অন্তঃপুরবাসিনীরা আজ নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। যাঁর উন্নত ও আধুনিক চিন্তা ভাবনার ফসল আমাদের প্রথম অক্ষরজ্ঞান। দৃঢ়চেতা সেই মানুষটির জন্মের দ্বি-শত বর্ষের দোরগোড়ায় আমরা উপস্থিত।
আর ওই মহান মানুষটির ভাবধারা আজকের সমাজের আপামর জনসাধারণের সম্মুক্ষে তুলে ধরতে একজন মানুষ নীরবে, নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে চলেছেন, তিনি তাঁর বংশের ধারাকে আজও বহন করে চলেছেন, তিনি পরিবেশবিদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করে চলেছেন তাঁর বংশের প্রবাদপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাবধারা, সঙ্গে আজকের প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তুলছেন বিদ্যাসাগর সম্পর্কে। সম্প্রতি অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলী জেলার শ্রীরামপুর থানার আধিকারিক দিব্যেন্দু দাসকে তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মানিত করলেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার দিয়ে।
অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাবেই সমাজের সেই সকল মানুষগুলিকে যাঁরা আমাদের সমাজের সম্যক চিত্র কিছুটা হলেও বদলাতে চেষ্টা করছেন, তাঁদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করে এবং তাঁদের মধ্যে বিদ্যাসাগরের ভাবধারাকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।