অমিত চক্রবর্তী, কলকাতা: সায়ন্তনী গুপ্ত ও বিশাখা দে’র যৌথ প্রয়াসে গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক সংস্থা করবী, জন্মলগ্ন থেকেই বঙ্গ সংস্কৃতির আনাচে কানাচে যাঁদের সাবলীল বিচরণ। সংগীতের মায়াজলে আবদ্ধ করে রাখতে এই সংস্থা গত ২৮ নভেম্বর কলকাতার সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস এর সত্যজিত্ রায় নামাঙ্কিত সভাগৃহে সৈয়দ হাসমত জালাল ও বরুণ চক্রবর্তী’র পৌরহিত্যে এক মনোজ্ঞ ও শ্রুতিমধুর সঙ্গীত সন্ধ্যা উপহার দিল। সংগীতের এই সন্ধ্যা সাজানো ছিল সুচারুরূপে। প্রবাসী বাঙালি শিল্পী অভিজিত্ রায়ের সুললিত কন্ঠের গজল মুগ্ধ করে এইদিন উপস্থিত সকল শ্রোতৃমণ্ডলীদের। কবিগুরুর গানে বিশাখা দে’র স্ব-কন্ঠের ৮ টি গানের “কি সুর বাজে” শীর্ষক একটি সংগীতমালারও অনুষ্ঠানিক মুক্তি ঘটলো এই অনুষ্ঠান মঞ্চ হতে।
সঙ্গীত যে মানুষকে কতটা প্রাণোচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে তার উত্কৃষ্ট নমুনার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো এদিনের সান্ধ্যকালীন এই সঙ্গীতবাসরে। রবীন্দ্র গানের “প্রেম ও বাঁশি” পর্যায়ের গানে অভিজিত্ রায়, বিশাখা দে ও সায়ন্তনী গুপ্ত’র কন্ঠের যাদুকরীতে এবং ছন্দে ও পাঠে সুতীর্থ বেদজ্ঞ’র পরিবেশন আবিষ্ট করে রেখেছিল সমবেত সকলকে।
অনুষ্ঠানের সর্বশেষ আকর্ষণ শিল্পী প্রবুদ্ধ রাহা’র কন্ঠে রবির গান। রবীন্দ্র গানের এক উজ্জ্বল জোতিষ্ক প্রবুদ্ধ রাহা, তার প্রমাণ আবারও পেলেন ওই দিন প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত সকল গুণীজন।