শিক্ষক দিবসের দিন সংবাদ প্রতিখনের সম্পাদক তাঁর নিজের সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সংবাদিকতার শিক্ষাগুরুকে প্রণাম জানিয়ে পোস্ট করেন। তাঁর সেই লেখা নিয়ে কিছুটা হলেও উত্তাল সম্পাদকের জন্মভূমি। সেই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকার এক সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব তাঁর কলমে প্রকাশ করলেন নিজের মতামত।
নিত্যানন্দ বাক্যবাগীশ: দরকার কি ছিলো মশাই পুরানো ব্যাপার টা তোলার? আপনি কোথা থেকে কি শিখে বড় হয়েছেন তা নিয়ে বৈদ্যবাটির লোকেদের জেনে কি হবে বলতে পারেন? আপনার শিক্ষক থাকতেই পারে, না থাকলে অবাক হতাম, তাকে নিয়ে ঘরে বসে পুজো করুন, তা নয়; শিক্ষক দিবসে ছবি দিয়ে গদ গদ ভাব। জানতাম না হটাৎ করে পুরোনো প্রেম উতলে উঠলো ওই শিক্ষকটির উপরে, কি ছিলো লোকটির? কিছুই ছিলো না, সত্যিই কিছুই ছিলো না। আর যেটা ছিলো সেটা অনেকেরই ছিলো না। কথাটি ছোট ভালোবাসা। কাঁধে কাপড়ের ব্যাগ, পরনে সাদামাটা পাজামা-পাঞ্জাবী, মুখে ছোট বড় সবার জন্য একগাল হাসি। একটা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন বটে সেটা শুধু নাম। আর বাকিটা-এই পত্রিকা তো আপনাদের, জানিনা কে কবে কি করেছে, তবে ওই বেকুব সম্পাদকটি করেছে তাই আর একটি বেকুব পত্রিকার জন্ম হয়েছে যার নাম সংবাদ প্রতিখন। এই লোকটিও বেকুব তবে উনি একটু অন্য মানের বেকুব, একটু চুলকে দেন এই আর কি। সেদিনও দিলেন আর অনেকেরই বুকের পাথরটা নড়ে উঠলো। কিছু একটা করা দরকার, কোথায় ছিলে তুমি মামা এই কটা দিন! হয়তো আপনি আপনারা হরিদাস পাল। কিন্তু ওই লোকটি যে দিকপাল, তাইতো আপনি আপনারা সেদিন ঘাড় কাত করে আঁতেল হয়েছিলেন। বুঁকের বা দিকে যেটা চলছে তাতে হাত দিয়ে একবার ভাবুন, মনে পড়েছিল, চুলকানি বড় ছোয়াচে রোগ দাদা, মাছ ভাত খেয়ে যেমন ছিলেন তেমন থাকাই ভালো, চুলকে গেলে গন্ধ বেরোয় যে। আর আমি, দুটো বেকুব সম্পাদক যে দুটো কান মুলে দিয়েছিলো তাই তো এখনো কটকট করে। ফটফট করে বলে ফেলি। শেষে বলি সাধু সাবধান। মনে যখন পরে নি, তখন গন্ধ করে কি হবে? ভালোবাসা টা থাক। বুঁকের বা দিক টা অকারণে চিন চিন না করাই ভালো। লোক টা বেকুব, আর ভালোবাসাটাও বেকুবের মতো ছিলো। আজ বুঝতে পারি ওটা সবার জন্য নয়। (ছবি এঁকেছে-সৌমী সাহা)