সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, মহেশতলাঃ রাজ্যের আপামর জনসাধারণের সঙ্গে আরও নিবিড় করে নিজেদের আপন করে নিতে রাজ্যের প্রধান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান, রাজ্যের অন্যতম প্রধান মানবিক মুখ তথা জনকে এক কোথায় পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ নিজেদের ঘরের-সব থেকে কাছের বলে ভাবতে পারেন, লড়াকু সেই নেত্রী মমতাময়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানোর লক্ষে গত ২৯ জুলাই কলকাতার নজরুল মঞ্চে দলের বিধায়ক ও নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে সম্পুর্ন ভিন্ন ধরনের এক জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যার মাধ্যমে এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ সরাসরি রাজ্যের প্রধান-রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী’র সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন, তা এই কয়দিনে রাজ্যবাসীরা সকলেই জেনে গিয়েছেন এবং এটাও আমরা সকলেই অবগত যে পরিমাণ উত্সাহ এই অল্প ক’দিনে ঘোষিত নম্বরটিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে তা এককথায় অভাবনীয়। আসলে সাধারণ মানুষেরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে চায় একটু স্বাচ্ছন্দ, তারা চায় না সরকারের কাছে থেকে বিশাল কিছু, সুখে-শান্তিতে রাজ্যে বসবাস করতে।
আর সম্প্রতি যে জিনিসটার বড়ই অভাব দেখা দিচ্ছে এই রাজ্যে। রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতৃ-বৃন্দের অহমিকায় তৃণমূল কংগ্রেস যা সাধারণ মানুষের দল তা কিছুটা হলেও জনগণের সাহচর্য হারিয়ে ফেলেছে একথা দলের সুপ্রিমো অনুধাবন করতে পেরেছেন বলেই আজ এই নতুন করে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে তাঁকে সংযোগের বিষয়ে ভাবতে হয়েছে এবং এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়েছে।
নিন্দুকেরা অনেকেই বলবেন এর দ্বারা কি এবং কতটা উপকৃত হবেন বা আদৌ উপকৃত হবেন তো, এই জাতীয় কথার অবতারণা করবেন। বিরোধী সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই নিন্দুকের দল মৌরসীপাট্টা জমিয়ে বসে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নতুন ব্যবস্থা নিয়ে। একদল নিন্দুক তো গেল গেল রব তুলেছেন। আসলে এই সকল নিন্দুকের দলের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটাই কিন্তু ভয়ের। নিন্দুকের দল ভয় পান মানুষের পাশে থাকা, লড়াকু, শত আঘাতেও যাঁকে টলানো যায় না, সকলের প্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।
‘দিদিকে বলো’ শীর্ষক টেলিফোন লাইন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ঘোষণা করার পর তিনি তাঁর দলের কর্মী, বিধায়ক সকলকে আদেশ দিয়েছিলেন এই বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তোলার লক্ষে। তাঁর এই আদেশ শিরোধার্য করে পরদিন থেকেই সকল নেতৃবৃন্দ তত্পর হয়ে উঠেছেন নিজ নিজ এলাকায় ‘দিদিকে বলো’র প্রচারে। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম এক প্রধান সৈনিক, বিধায়ক দুলাল দাস।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত মহেশতলা বিধানসভা। ২০১৮ উপ-নির্বাচনে এই বিধানসভা থেকে জয়লাভ করার পর থেকে যিনি দক্ষতার সঙ্গে একাধারে মহেশতলা পৌরসভা ও মহেশতলা বিধানসভার দায়িত্ব সামলে যাচ্ছেন নিপুণ ভাবে, যাঁর সময়ে মহেশতলা’র জনগণ পেয়েছেন তাঁদের বহুদিনের দাবিমত একটি মাল্টিস্পেশালিটি সুপার হাসপাতাল, উড়াল পুল থেকে শুরু করে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের সংস্কার করে যিনি সদাই ব্রতী সাধারণ মানুষের পাশে থেকে দিদির আদর্শে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলতে সেই দুলাল বাবুও দিদির এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে নেমে পড়েছেন ময়দানে। দিদির নির্দেশ পাওয়ার পরেই মহেশতলার মোল্লারগেট এলাকার বিধানভবনে দুলাল দাস নিজে এবং মহেশতলা পৌরসভার উপ-পুরপ্রধান আবু তালেব মোল্লা সহ তাঁর দলের সকল পুর-প্রতিনিধিদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দিদিকে বলো’র স্বার্থক প্রচারে এবং আরও বেশি করে জনসংযোগ রক্ষায় আগামী ১০০ দিনের গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাঁদের কর্মসূচী বিস্তারিত বর্ণনা করেন।