সংঘমিত্রা সাক্সেনাঃ বাংলার পরতে পরতে রয়েছে বাঙালিয়ানা, যাকে বারো হাতে বেধেছে বঙ্গনারী। তাইতো বলতে বাধা নেই, ‘আহা! তুমি সুন্দরী কত!’ এক সময়ের এই গান তিলোত্তমার সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা এনে দেয়। একবারও কি জানতে ইচ্ছে করে না বাংলার রূপের চাবিকাঠি আসল রহস্য কোথায় লুকিয়ে আছে? নিশ্চয়ই করে তাই না! চলুন জেনে নিই তাহলে কি সেই রুপ রহস্য? বাংলা এবং বঙ্গ ললনা এই দুয়ের রূপের মূলই হলো শাড়ি। ভারতের মগধ সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের গ্রীক পত্নীর শখ রাখতেই এই শাড়ির উৎপত্তি বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন। ভারতীয় মেয়েদের মধ্যে এরপর থেকেই শাড়ি পরার প্রচলন শুরু হয়। শাড়ির প্রাচীন নাম ‘আধনা’ অর্থাৎ ‘ওড়না’। এই ওড়না বা আঁচল দিয়ে অতীতে মেয়েরা তাদের লজ্জা নিবারণ করতো। সময় এর চাকা ঘুরতে ঘুরতে প্রতিফলন স্বরূপ সেই বারো হাত পরে শাড়ি নামে পরিচিত হয়।
১৭৪৭ সালে শাড়ির শখে উদ্বুদ্ধ বাংলার নবাব আনুমানিক সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার জামদানি শাড়ি কেনেন। যা ভাবতে বাধ্য করে একসময়ের শাড়ি প্রেমিকদের কথা। পরবর্তীকালে সেই আধুনিক জায়গা নিয়েছে পাশ্চাত্য পোশাক কিন্তু আজও বাংলা ও বাঙালিয়ানার শেষ কথা আধণা’র আধুনিক রূপ শাড়ি।
যদিও আধুনিকতার ঢং সাবেকিআনার তাগিদকে ফিকে করেছে। আধুনিকারা মুখ ফিরিয়েছেন শাড়ির থেকে। তবুও শাড়ি আর সমাজ এই দুইয়ের যুগলবন্দী আজও অনস্বীকার্য। সংস্কৃতির মোড়ককে যদি উপড়ে ফেলা হয় ঠিক কেশর বিহীন ন্যাড়া সিংহের মত লাগবে বঙ্গসমাজ। সেই নিরিখেই বোধহয় আজও শাড়ি আছে শাড়িতেই।
https://videopress.com/v/k4ZW5siG?at=1&loop=1&autoPlay=1