রাজ্য তথা দেশের মানবিক মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Untitledসুফল তর্কালংকারঃ অবশেষে জট কাটলো সারা রাজ্য জুড়ে চলতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির আন্দোলনের। বিগত এক সপ্তাহ এক ভয়ানক অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলার পর এক মুঠো তাজা বাতাস রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে বিরাজ করছে আন্দোলোনের সপ্তম সন্ধ্যা থেকে। আর তা সম্ভব হলো শুধুমাত্র রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতায়। সারা পৃথিবীকে সাক্ষী রেখে তিনি প্রমাণ করলেন রাজ্য শাসন শুধুমাত্র ক্ষমতার আস্ফালন নয়, রাজ্য শাসন করতে গেলে রাজ্যের সাধারণ মানুষদের কথা বিশেষ করে মাথায় রাখা বিশেষ জরুরী। যে ভাবে, ঠান্ডা মাথায় তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের ৩১ জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক সারলেন তা এককথায় দৃষ্টিনন্দন ও শিক্ষণীয়। একটা কথা সহজেই বলা যায় তাঁকে দেখে শেখা উচিত দেশের রাজনৈতিক দলের সকল কাণ্ডারীদের। মুখেন মারিতং জগত্‍ নয়, কিভাবে সুচারু ভাবে সমস্যার সমাধান করতে হয় তা উনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, তার সঙ্গে সঙ্গে যে সকল মহান মানুষদের দল এই কদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাপ-শাপান্ত করছিলেন, বিশেষ করে নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকগন; তাঁদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন রাজ্য শাসন করতে গেলে অনেক সময় কাউকেই রেয়াত করা যায় না বা বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে নমনীয় হয়ে সমস্যার গভীরে প্রবেশ করে সমস্যার সমাধান করতে হয়, শুধুমাত্র মিডিয়ার সামনে বা সামাজিক মাধ্যমে বড় বড় কথা বলে বাজার গরম করে সকল সমস্যার সমাধান করা যায় না। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে’র উন্নতি বিধানে এবং তাঁদের সুস্থ কাজের পরিবেশের দাবিতে যে সকল দাবি নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে পেশ করেছিলেন নম্রতার সঙ্গে, এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে সেই সকল দাবিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে অনুধাবন করে সঙ্গে সঙ্গে তার জন্য নিধারিত দপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করলেন তা এককথায় অতুলনীয়, যার সাক্ষী রইল সারা বিশ্ব।

সঙ্গে সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দিলেন প্রশাসনকে সঠিক রূপে চালনা করতে প্রয়োজনে অবলম্বন করতে হয় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তের। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক মুখের নিদর্শন আরও একবার আজকের এই বৈঠকে লক্ষ করলেন দেশবাসী। আসলে কূটনৈতিক প্রধান হিসাবে তিনি আজ যে যথেষ্টই পরিণত তার উপযুক্ত প্রমাণ এই সদর্থক বৈঠক। সবথেকে উল্লেখ্য যে বিষয়টি সেটি সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে আমাদের রাজ্যের অভ্যন্তরে হটাত্‍ করে গজিয়ে ওঠা নানান সমস্যা’র মূলে আজ কী সেটা একটু ভাবার সময় বোধহয় এবার এসে গেছে। যে বাংলায় আমরা কোনদিন জাত-পাতের বিভাজন দেখিনি, সেই বাংলা আজ একশ্রেণীর ধর্মীয়-রাজনৈতিক নেতাদের এবং গদির লোভে লালায়িত একদল বিপথগামী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীর দুরভিসন্ধিমূলক ঐকান্তিক ইচ্ছার পথে পা বাড়াচ্ছে, আর তাতে ইন্ধন যোগাচ্ছেন বেশ কিছু স্বার্থান্বেষী তথাকথিত মানুষের দল। তবুও তারই মধ্যে আসার কথা আমাদের রাজ্যে এখনও বেশ কিছু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের দল আজ নিজেদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও তাঁদের নিজেদের মত করে ওই সকল দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। তবে একটা কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যেভাবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চলা অচলাবস্থার সমাধান করলেন তা নজির হয়ে রইল সারা দেশ তথা সারা বিশ্বের কাছে। (ছবি- সংগৃহীত)

%d bloggers like this: