সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, কলকাতাঃ অভিনব এক জনসংযোগের সাক্ষী হয়ে রইল উত্তর কলকাতাবাসী গত ১ মে ২০১৯ সন্ধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে কলকাতা কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা গৌতম হালদারের আয়োজনে “কফি’র আসরে সুদীপদা” শীর্ষক এক অভিনব অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণের নানা প্রশ্নের সাবলীল প্রাঞ্জল ভাষায় প্রবীণ এই নেতা ছিলেন উজ্জ্বল। এদিন জনৈকের প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিগত ৫ বছরের সামগ্রিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে সুদীপবাবু বলেন বিগত ৫টি বছর ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসে সবথেকে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে চলেছে। তিনি বলেন যে সরকার এই ৫টি বছর ভারতের মসনদে রাজত্ব করে আবারও জনগণের কাছে ভোট চাইছেন সেই সরকার ভারতের ইতিহাসে সবথেকে খারাপ সময় ভারতবাসীদের উপহার দিয়েছেন। কাজেই এই সরকারকে তাঁরা আর চান না।
এদিন উত্তর কলকাতার ৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিপ্লবী গণেশ ঘোষ উদ্যানে স্থানীয় পৌরপিতা এলাকার সকলের কাছের মানুষ গৌতম হালদার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে আয়োজন করেছিলেন সমাজের সকল স্তরের মানুষদের নিয়ে এই আসরের। এদিনের সন্ধ্যায বিপ্লবী গণেশ ঘোষ উদ্যান আলোকিত হয়ে উঠেছিলো নানান গুণী মানুষদের উপস্থিতিতে। উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন তবলা বাদক পন্ডিত কুমার বোস, অ্যাডভোকেট গীতনাথ গাঙ্গুলী, বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পান্ডে, বিধায়ক মালা সাহা, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, এক নং বোরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা সহ ক্রীড়া ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের নানান মানুষ।
এদিনের আলোচনা নোটবন্দী, জিএসটি থেকে সুদীপ বাবুর জেলের জীবন নিয়ে নানা প্রশ্নের প্রতি আলোকপাত করেন উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার বুকে ভোটের আগে এই ধরনের এক অনন্য সুন্দর অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য সুদীপ বাবু আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পুরপিতা গৌতম হালদারকে। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বিপ্লবী গণেশ ঘোষের মর্মর মূর্তিতে মাল্যদান করেন গৌতম হালদার স্বয়ং। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থীকে আগে কর্পোরেশনের ভোটে জিতে এসে তবে তাঁর সঙ্গে ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হবার আহ্বান জানান। সুদীপ বাবু বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র বাংলার নন তিনি সারা দেশের নেত্রী, তিনি আরও বলেন বাংলার অস্তিত্ব আজ বিপন্ন করার অপচেষ্টা চলছে, বাংলার অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। (নিজস্ব চিত্র)