পথিক মিত্র, হুগলিঃ বাচিক শিল্পী, কথাটা এই মূহুর্তে বড়ই প্রচলিত। যদিও কয়েকবছর আগে যে সকল মানুষরা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের হয় আবৃত্তিকার বা আবৃত্তি শিল্পী হিসাবেই পরিচয় দেওয়া হত। বর্তমান আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছে। ছন্দের জগতে, আবৃত্তির দুনিয়ায় কাজ করে চলা এমনই এক প্রাণ হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি শহরের ভূমিপুত্র আবৃত্তিকার ও অভিনেতা অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। আবৃত্তি যাঁর মননে, শয়নে-স্বপনে। শুধুমাত্র আবৃত্তি নয় অভিজিত্ আজ সমান ভাবে বিচরণ করছেন অভিনয়ের দুনিয়ায়। আবৃত্তিতে নিবেদিত প্রাণ অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় আজও করে চলেছেন আবৃত্তি চর্চা। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় এবং তাঁর অবিভাবকত্বে তৈরি হচ্ছে আগামীর প্রজন্মরা, যাঁদের তিনি তৈরি করে চলেছেন মন-প্রাণ দিয়ে। এর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর অনুগামী বেশ কিছু মানুষ যাঁরা বয়সের সীমাবদ্ধতাকে আমল না দিয়ে গুণীর কদর করে আজ ছায়াসঙ্গী অভিজিত্ এর এবং তাঁর তৈরি করা বৈদ্যবাটি আবৃত্তি পরিষদের। শুধুমাত্র বৈদ্যবাটি বা শেওড়াফুলি নয় অভিজিতের ছায়াসঙ্গীরা আজ হাজির হচ্ছেন সুদূর বর্ধমান, শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া ইত্যাদি শহর থেকেও।
সম্প্রতি বৈশাখের এক শনিবারের ভোরে অভিজিত্ বাবু তাঁর সকল ছাত্র-ছাত্রী ও গুণমুগ্ধদের নিয়ে আয়োজন করেছিলেন এক মনোজ্ঞ ঘরোয়া বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানের বৈদ্যবাটিতে ডঃ অভিজিত্ গুপ্ত’র বাসগৃহে।
এদিনের এই প্রভাতী অনুষ্ঠানে কবিতায়, নাচে, গানে, কথায় ও শ্রুতি অভিনয়ে উপস্থিত সকলকে মাতিয়ে রেখেছিলেন আবৃত্তি পরিষদের কলা-কুশলীরা। অসাধারণ এক মেদুরতায় ভরে উঠেছিল সেদিনের সকাল। পরিমিত, পরিশীলিত সামগ্রিক একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের সাক্ষী হয়ে রইলেন ওইদিন প্রভাতে বৈদ্যবাটি আবৃত্তি পরিষদের প্রধান কর্ণধারের আহ্বানে উপস্থিত সকল মানুষজন। (ছবি-স্বরূপম)