নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এই বাংলা জন্ম দিয়েছে বহু সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্বকে। বঙ্গের ইতিহাস সেই নিদর্শন বহন করে চলেছে আবহমানকাল ধরে। আমাদের বঙ্গ সংস্কৃতি কতটা উন্নত তার প্রমাণ মেলে ইতিহাস পর্যালোচনায়। শুধুমাত্র মাতৃভাষা নয় অন্য ভাষাতেও আমাদের অবাধ বিচরণ একথা বাংলার অতিবড় নিন্দুকও মানতে বাধ্য। বারে বারেই তার স্বরূপ পরিলক্ষিত হয়ে চলেছে আমাদের সংস্কৃতিতে। ঠিক এইরকম নিজের মাতৃভাষা ছাড়াও অন্যান্য ভাষা নিয়ে যে সকল লেখক-লেখিকার দল একান্তে নীরবে কাজ করে চলেছেন তাঁদের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসছে এই বাংলার অন্যতম প্রকাশনা সংস্থা ‘লিটেরোমা’। নবীন-প্রবীণ, নামী-অনামী সকলের জন্যই সর্বদা দরজা খোলা লিটেরোমা’র। এহেন লিটেরোমা পাবলিসিং হাউসের নিজস্ব স্টুডিও’র দ্বারোঘাটন হয়ে গেলো বাংলা নব বর্ষের প্রাক্কালে, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ অপরাহ্নে।
এদিন এই উপলক্ষে এক ক্ষুদ্র অথচ মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো লিটেরোমা কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিজস্ব স্টুডিওতে। সমাজের নানান ক্ষেত্রের গুণী মানুষের উপস্থিতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিলো এই অপরাহ্ন। হাওড়া জেলার বেলুড়ে লিটেরোমার স্টুডিওতে এদিন প্রকাশিত হয় ৪০ জন ভারতীয় লেখক-লেখিকাদের উক্তি সম্বলিত একটি অসাধারণ বই, “কোটেশন অ্যান্থোলজি”। উল্লেখ্য, ফরাসি নাইট উপাধি ভূষিত ডঃ পৃথ্বীন্দ্র মুখোপাধ্যায় লিখিত সনেট সহ নানান লেখক-লেখিকাদের উক্তি বা কোটেশন রয়েছে এই বইটিতে।
অনুষ্ঠানে লিটেরোমার পক্ষে সাইবার বিশেষজ্ঞা এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিতা লেখিকা ঋত্বিকা ব্যানার্জী উপস্থিত সকলকে সাদর সম্ভাষণ জ্ঞাপন করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে লিটেরোমার ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত থেকে নিজেদের মুল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন লেখিকা ও লিটেরোমার অন্যতম প্রধান কর্ণধার সুব্রতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পক্ষী লাভার ও চিত্রগ্রাহক তরুণ ব্যানার্জী, কনিষ্ঠা লেখিকা অনুপ্রিয়া কুমারী, চিত্র পরিচালক অঙ্কণ রায়, প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব সুদীপ সিনহা সহ পাঠিকা ঝুম্পা চ্যাটার্জী, অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুস্থানটির মুখ্য আহ্বায়ক এবং লেখক তমাল মুখোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টরা। লিটেরোমার স্টুডিও’র অনুষ্ঠানের সেদিনের সন্ধ্যা আবারও স্বাক্ষর রেখে গেলো আমাদের বর্ণময় সংস্কৃতির। (নিজস্ব চিত্র)