নিজস্ব প্রতিবেদনঃ আপন ভোলা-চির যুবা-স্বভাব কবি-আপন খেয়ালে যিনি সৃষ্টি করে চলেছেন একের পর এক কাব্য, বুনে চলেছেন নিজের খুশিতে সুরের মায়াজাল, সংগীত যাঁর চিন্তনে-মননে-শয়নে-স্বপনে, যে মানুষটি নিজের স্বত্তাকে না বিকিয়ে এবং আজকের দুনিয়ার ইঁদুর দৌড়ে হারিয়ে না গিয়ে স্বাধীনভাবে নিজের খেয়ালে সুরসাগরে নিমজ্জিত হয়ে আছেন, তিনি কলকাতার অদূরে হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি নামক এক প্রাচীন শহরের বাসিন্দা জয়ন্ত পাঠক। যাঁর লেখনীর মধ্য দিয়ে উঠে আসে সাধারণের মনের আকুতি, বর্তমান সময়ের নানা ঘটনা, সাবলীল অথচ বলিষ্ঠ যাঁর লেখনী সেই মানুষটি কিন্তু সদা হাস্যময়, সদাই প্রাণোচ্ছল। হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি ও শেওড়াফুলির শহরের সংযোগস্থলে বিখ্যাত পাঠক বাড়ি, যা আজ শুধুই ইতিহাস, সেই বাড়ির সন্তান যাঁকে বয়স থাবা বসাতে পারে নি, সেই জয়ন্ত পাঠক নীরবে সাধন করে চলেছেন সুরের। গ্লামারের পেছনে না দৌড়ে যিনি চেয়েছেন সেই সব মানুষদের পাদ-প্রদীপের তলায় নিয়ে আসতে যাঁরা প্রকৃতই প্রতিভাবান, অথচ সাধারণের অজানা। এই সকল জ্ঞানী অনামী শিল্পীদের সকলের সামনে তুলে ধরতে তিনি এই মুহূর্তের সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম সামাজিক যৌথ সম্প্রচার ব্যবস্থার ইউ-টিউব শীর্ষক চলমান মাধ্যমে “প্রেম ও পূজা” শীর্ষক একটি চ্যানেল। যেখানে তিনি হাজির করাচ্ছেন সমাজের সেই সকল গুণী মানুষদের যাঁদের প্রতিভার পরিচিতি অনেকেই সেই ভাবে পান নি কখনও। সেই সকল মানুষগুলির মধুর কন্ঠে সুরের জগতে বিচরণের স্ফুরণ ঘটছে এখানে। সম্প্রতি একটি গান যেটি জয়ন্ত বাবু আজ থেকে বছর ২০ আগে একজন গুণগ্রাহীর অনুরোধে লিখেছিলেন ও সুর দিয়েছিলেন, তা আবারও সকলের সামনে হাজির করলেন জয়ন্ত বাবু এবং এমন একজন মানুষের কন্ঠের মাধ্যমে যে মানুষটি নিজেই নিজের জীবনের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। অসাধারণ কণ্ঠ মাধুর্যে গানটি অন্য মাত্রা লাভ করেছে একথা সহজেই বলা যায়।
জয়ন্ত বাবু তাঁর এই স্বপ্নের চলমান অন্তর্জাল মাধ্যমে শুধুমাত্র কণ্ঠসংগীতকেই প্রধান্য দিচ্ছেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। এখানে থাকছে কবিতা, যন্ত্রসঙ্গীত ইত্যাদি। অনেকদিন পর এমন একটি যন্ত্রের ব্যবহার এই চ্যানেলে দেখা গেল সেটি মাউথ অর্গান। এই রকম নানান ব্যতিক্রমী শিল্পের নানা অজানা অনামী গুণী শিল্পীদের সঙ্গে আপামরের পরিচয়ের মহান ব্রতে আজ একাত্ম হয়ে নিরলস কাজ করে চলেছেন কবি- সংগীতকার-সুরকার-শিল্পী মাটির মানুষ জয়ন্ত পাঠক।