নিজস্ব সংবাদদাতাঃ “বসন্ত”- বসন্ত মানেই উত্সব, বসন্ত মানে আনন্দের সমাহার। পৃথিবীর নানা প্রান্তে এই সময়কাল ছুঁয়ে যায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার হৃদয়। অতি বড় পাষাণ হৃদয়েরও মনের কোণে সামান্য হলেও ঋতুরাজ পরিবর্তন ঘটায়। আমরা বাঙালিরা উত্সবপ্রিয় জাতি। বসন্তের আগমনে আমাদের হৃদয় উদ্বেল হয়ে ওঠে, মনের আনন্দে কখন যেন নিজের হৃদয় গেয়ে ওঠে, “আজি এ বসন্ত দিনে / বাসন্তী রঙ ছুয়েছে মনে / মনে পড়ে তোমাকে ক্ষণে ক্ষণে / চুপি চুপি নিঃশব্দে সঙ্গোপনে।” বসন্ত মানে রঙের মাস, বসন্ত মানে ফুলের সমাহার, এই বসন্তেই আমাদের পড়শী দেশে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপণ করা হয়েছিল। বসন্তেই কবিগুরু শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবের সূচনা করেছিলেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। সেই ধারা আজও সমানভাবে বহমান, বসন্তে রঙের উত্সবে আমরা যেমন নিজেদের রাঙিয়ে নিই নানান রঙে, তেমনি এই বসন্তকে কেন্দ্র করে আমরা মেতে উঠি পরস্পরের সঙ্গে সাংস্কৃতিক মত বিনিময়ে। সেই ধারাকে অক্ষুন্ন রেখে হুগলি জেলার বৈদ্যবাটির সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘পানসি’ সম্প্রতি স্থানীয় শীতল পালের বাড়িতে আয়োজন করেছিলো একটি ঘরোয়া-মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
আপাত বিদায়ী বসন্তের বৈঠকী আড্ডায় আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য, পাঠ, আলোচনা ইত্যাদি সহকারে জমজমাট একটি সুন্দর সান্ধ্য উপহার দিলেন পানসির সদস্যরা। এই সন্ধ্যায় পানসির পক্ষে উপস্থিত থেকে ও অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানটিকে এক অন্য মাত্রা দান করেন পানসির পক্ষে দেবাশীষ কুমার, সন্দীপ সরকার, সুকান্ত চৌধুরী, রুমা বন্দ্যোপাধ্যায়, আদিত্য গুপ্ত, জোত্স্না জানা, শীতল পাল, গায়ত্রী পাল, পার্থপ্রতিম মজুমদার, গৌতম জানা, সৌরাশ পাল, সৌমা পাল, শ্রুতষ্মা মজুমদার সহ পানসির সকল সদস্য-সদস্যরা।
প্রবীণ ও নবীণের মেলবন্ধনে কথায়, কবিতায়, গল্পে, গানের এই সাংস্কৃতিক আসর এক অন্য মাত্রা লাভ করেছিল সেই সন্ধ্যায়। (ছবি সৌজন্যে পানসি)