পুরুষকথার চতুর্থ সংখ্যা প্রকাশ

নিরাপরাধ পুরুষ কেন শুধুমাত্র আইনের বেড়াজালে জড়িয়ে নিজের বিপন্ন বোধ করবে? আজ আমাদের দেশে পুরুষের প্রতি অবিচারের প্রতিকার চেয়ে তৈরি হয়েছে এমন অনেকগুলি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা, যারা ইতিমধ্যে দাবি তুলেছেন আমাদের দেশে অবিলম্বে জাতীয় মহিলা কমিশনের অনুরূপ জাতীয় পুরুষ কমিশন গঠন করতে হবে। আমাদের রাজ্যও পিছিয়ে নেই এই বিষয়ে। এমনি এক সংস্থা আজ এই রাজ্যে নীরবে কাজ করে চলেছে সমাজের নির্দোষ নিপীড়িত, নির্যাতিত পুরুষকুলের জন্য, তারা হলেন “অভিযান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড চ্যারিটেব্যল ট্রাষ্ট”, যাদের সরকারী ভাবে পথ চলা শুরু আজ থেকে বছর দুই আগে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টি, সেটি হলো, সম্পুর্ন ভাবে পুরুষদের নানা সামাজিক সমস্যা, তাদের প্রতি অবিচার, অত্যাচারের কথা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে অভিযান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড চ্যারিটেব্যল ট্রাষ্ট প্রকাশ করতে শুরু করেছে পুরুষের জন্য একটি পত্রিকা “পুরুষকথা”।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে গণমাধ্যমের চতুর্থ স্তম্ভের প্রতিনিধিদের সামনে অভিযান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড চ্যারিটেব্যল ট্রাষ্ট তাদের পত্রিকার চতুর্থ সংখার আত্মপ্রকাশ ঘটালো কলকাতা প্রেস ক্লাবে। এ প্রসঙ্গে পত্রিকার সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য সকলের সামনে তাঁর কেন এবং কিভাবে এই সংস্থা ও এই পত্রিকার পথচলা শুরু করলেন তা বিস্তারিত জানান। অভিযান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড চ্যারিটেব্যল ট্রাষ্ট এর কর্ণধার তথা প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গৌরব রায় বলেন নিজের জীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাই তাঁকে আজ ভাবতে শিখিয়েছে আমদের দেশে পুরুষদের নিরাপত্তার জন্য সদর্থক আইন প্রয়োজন। তাই তাঁরা তাদের সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের নিপীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং সেই সকল পুরুষ মানুষদের জন্য এক এবং অভিন্ন আইন গঠনের দাবি জানাচ্ছেন আজ। এদিনের অনুষ্ঠানে অভিযান ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড চ্যারিটেব্যল ট্রাষ্ট পত্রিকা উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ জগতের কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত পুরুষকে সন্মানিত করেন। যাদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কিংশুক প্রামানিক ও দেবাশীষ দত্ত। এছাড়াও পুরুষকথা’র পক্ষ থেকে ভ্রমণ ও লাইফ এর সম্পাদিকা দিপন্বীতা দাস, সংবাদ প্রতিখনের সম্পাদক স্বরূপম চক্রবর্তী, সাংবাদিক সমীর দাস সহ একঝাঁক নবীন ও প্রবীণ পুরুষ ও মহিলা সাংবাদিকদের মানপত্র ও উত্তরীয় প্রদান করে সন্মাননা জ্ঞাপন করলেন।

%d