পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুরঃ পুজোর লাভের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হল ২ জনের। মৃতদের নাম পরিতোষ ভৌমিক (৫০) ও সইদুর রহমান (৪৮), আহত আরও এক। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানা এলাকার। আহত সঞ্জয় সরকার গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৯, গঙ্গারামপুরের ঠেঙাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা শনি পুজোর আয়োজন করে। পুজো উপলক্ষ্যে গতকাল বাউল গানের আসরও বসানো হয়। সেই পুজো থেকে হওয়া লাভের টাকা ভাগাভাগির সময়ে স্থানীয়দের দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তার কাজের হিসাবের প্রসঙ্গ উঠলে স্থানীয়দের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে পৌঁছায়। প্রাক্তন আই.এন.টি.টি.ইউ.সি‘র জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মিয়া ও নুরুল ইসলামের অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ। অভিযোগ, একদল রামদা নিয়ে আক্রমণ করে। রামদার আঘাতে জখম হন সইদুর রহমান। এলোপাথাড়ি গুলিও চালানো হয়। জখম হন পরিতোষ ভৌমিক ও সঞ্জয় সরকার। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থানে ছুটে আসে এলাকার অন্য বাসিন্দারা। জখম ৩ জনকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরিতোষ ও সইদুরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। সদর মহকুমা পুলিশশাসক বিপুল ব্যানার্জিও আসেন। পৌঁছায় কমব্যাট ফোর্স। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় চলছে পুলিশি টহল। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় সরকার জানান, ঝামেলা কী কারণে শুরু হয় তা জানা ছিল না। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ গুলি চলতে শুরু করে। তখন গুলির আঘাতে জখম হন তিনি। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী সঞ্জয় সরকার। আর যে গুলি চালিয়েছে সেও তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। যদিও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।(ছবি পল মৈত্র)