কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তিন দিনের হিমালয়ান অরেঞ্জ টুরিজম ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় সংকরণ। তিন দিনের এই উত্সবের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। কমলালেবু মূলত শীতপ্রধান এলাকার অন্যতম ফসল। শীতের মরশুমে এই ফলের কদর বাঙালির কাছে চিরকালীন। শীতের মিঠে রোদে পিঠ দিয়ে বসে আপামর বাঙালি কমলার স্বাদ আস্বাদনে সবাই এক বাক্যে উপস্থিত। কলকাতায় বসে যদি হিমালয়ান কমলার স্বাদ উপভোগ করা যায় তবে টা এক কোথায় সোনায় সোহাগা তা বলাই বাহুল্য। আর ঠিক এই উদ্দেশ্যে এবং হিমালয়ের কোলের এই সকল এলাকাগুলির গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশে আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে বাংলার ও সিকিম হিমালয়ের গ্রামীণ পর্যটনের উন্নতিতে ও হোমস্টে’র বিকাশে জন্ম নেওয়া এ.সি.টি. বা অ্যাসোশিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম নামক সংগঠনটি কলকাতার সল্টলেক সিটি সেন্টারে আয়োজন করেছিল গত ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমালয়ান অরেঞ্জ টুরিজম ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় সংস্করণ।
স্থানীয় সংস্কৃতি, কৃষি, হস্তশিল্প ইত্যাদি এর ফলে আজ সকলের কাছে অনেকটাই উন্মুক্ত। ভারতের এই সকল অঞ্চলের পর্যটনের বিকাশের লক্ষ্যে অ্যাসোশিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম সঠিক পথে সঠিক ভাবে বাণিজ্যকরনের কথা ভেবেই ২০১৪ সালে কলকাতার বুকে প্রথম বারের জন্য আয়োজন করেছিল হিমালয়ান অরেঞ্জ ফেস্টিভ্যাল। এই বছর এই ফেস্টিভ্যালে কমলালেবুর নানান পদের সঙ্গে হাজির ছিল উত্তরবঙ্গ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মায়ানমার নেপাল ইত্যাদি অঞ্চলের সংস্কৃতি ও শিল্পকলার অপরূপ মেলবন্ধন। উত্সবের সাংস্কৃতিক মঞ্চে তিনদিনই পাহাড়ী নানান উপজাতির শিল্পীরা পরিবেশন করেন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অ্যাসোশিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের অন্যতম প্রাণ পুরুষ রাজ বসু এই হিমালয়ান ফেস্টিভ্যালের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ওই সকল এলাকার হোমস্টে গুলি সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেন। তিনি অবিলম্বে ভারতবর্ষে হোমস্টে নিয়ে সরকারী স্তরে নিদির্ষ্ট নিয়ম-কানুন লঘু করার দাবীও পেশ করেন।