কলকাতার বুকে কমলালেবুর উত্সব আবারও বসতে চলেছে আগামী ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর কলকাতার লবণহ্রদ এলাকার সিটি সেন্টার নম্বর এক এ। ডিসেম্বরের ৭ থেকে ৯ এই তিনদিন চলবে ৩য় বর্ষ হিমালয়ান অরেঞ্জ ফেস্টিভ্যাল। এখন থেকে প্রায় প্রায় দুই দশক আগে বাংলার ও সিকিম হিমালয়ের গ্রামীণ পর্যটনের উন্নতিতে ও হোমস্টে’র বিকাশে জন্ম নেয় এক্ট বা অ্যাসোশিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম নামক সংগঠনটি। এই সংগঠন মূলত উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশে নানান কর্মসূচী গ্রহণ করে গ্রামীণ পর্যটনের উন্নতিতে কাজ করে চলেছে। স্থানীয় সংস্কৃতি, কৃষি, হস্তশিল্প ইত্যাদি এর ফলে আজ সকলের কাছে অনেকটাই উন্মুক্ত। আর ভারতের এই সকল অঞ্চলের পর্যটনের বিকাশের লক্ষ্যে অ্যাসোশিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম সঠিক পথে সঠিক ভাবে বাণিজ্যকরনের কথা ভেবেই ২০১৪ সালে কলকাতার বুকে প্রথম বারের জন্য আয়োজন করেছিল হিমালয়ান অরেঞ্জ ফেস্টিভ্যাল। অরেঞ্জ বা ম্যান্ডারিন বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় ফলগুলির মধ্যে একটি ফল, এবং আমাদের দেশের উত্তরপ্রান্তে এই ফলটির ফলন ও সর্বাধিক ও সুস্বাদু। পর্যটকদের এই অঞ্চলে আকৃষ্ট করতে, তার সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার কৃষ্টি-সংস্কৃতি, শিল্প, কৃষি, জীবনযাত্রা সকলের সামনে তুলে ধরতেই এই উত্সবের আয়োজন। এই বছর এই ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় সংস্করণ বসতে চলেছে ডিসেম্বরে। এই উপলক্ষ্যে কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার সভাপতি বাসব ভট্টাচার্য্য এই উত্সব আয়োজনের যৌক্তিকতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন উত্সবের দুইজন আহ্বায়ক গীতালি লাহিড়ী ও মহাশ্বেতা রায় এবং বিশিষ্ট হিন্দী কবি দেবজ্যোতি লাহিড়ী ও কলকাতায় এই উত্সবের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব অরিজিত্ কুণ্ডু ও অ্যাসোশিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের অন্যতম প্রাণ পুরুষ রাজ বসু।
আয়োজকসংস্থার পক্ষে জানান হয় কলকাতার পর্যটনপ্রেমী মানুষদের সঙ্গে উত্তরবাংলা সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মানুষজনের মধ্যে এক সমন্বয় সদন করবে এই অরেঞ্জ ফেস্টিভ্যাল। আগামী ৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় উত্সবের সূচনা হবে বলে জানানো হয় এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। এই উত্সবে ওই এলাকার গ্রামবাসীরা এখানে তাদের হোমস্টে, গ্রামীণ পর্যটন সার্কিট, কমলালেবু, মধু, গৃহজাত কৃষি উত্পাদন, অর্কিড, হস্তশিল্প এবং হ্যান্ডলুম পণ্যগুলি নিয়ে আসবেন। এছাড়াও থাকছে স্থানীয় শিল্পীদের নৃত্য ও সংগীতের অনুষ্ঠান। ভ্রমণ ও লাইফকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাত্করে অ্যাসোশিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের পক্ষে রাজ বসু জানান এই বছরে পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি পর্যটন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা গুলি এই উত্সবে আয়োজন করতে চলেছে গ্রামীণ পর্যটন আড্ডা। এর ফলে উভয়ের মধ্যে এক যোগসূত্র স্থাপন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।